লোকসভা নির্বাচন ৬৯ পুরসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। সেই পুরসভা এলাকাতেই বর্তমানে রেড অ্যালর্ট জারি করা হয়েছে।
আর মাত্র কয়েকদিন, তারপরই দেখা যেতে পারে নতুন তৃণমূল কংগ্রেস। সূত্রের খবর ঘাসফুল শিবিরে বড় সাংগঠনিক রদবদল হতে পারে। উপনির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর দলীয় সাংগঠন নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে খসড়া দিয়েছেন তাতে সায় দিয়েছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাতেই কাঁচি হতে চলেছে তৃণমূল স্তর থেকে জেলা স্তর পর্যন্ত অনেক নেতা কর্মীর নাম।
লোকসভা নির্বাচন ৬৯ পুরসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। সেই পুরসভা এলাকাতেই বর্তমানে রেড অ্যালর্ট জারি করা হয়েছে। অভিষেকের খসড়ায় নাম রয়েছে একাধিক চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানের। কাউন্সিলরদের দিকেও আলাদা আলাদা করে নজর দিয়েছেন তৃণমূলের নম্বর টু। অন্তর্ঘাত করেছেন বা প্রয়োজনীয় সাহায্য করেননি দলীয় প্রর্থীকে এমন তৃণমূল নেতাদের দিকেও নজর দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উপনির্বাচননের পরই অভিষেকের খসড়া ধরে কাজ করতে পারেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের এক নেতা। তাঁর কথায় অভিষের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকেই জনিয়ে দিয়েছিলেন কাজের মাপকাঠিতেই দলের সমস্ত নেতার মূল্যায়ন করা হবে। তৃণমূল সূত্রের খবর ঘাসফুল শিবিরকে ঢেলে সাজাতে ইতিমধ্যেই চুলচেরা বিশ্লেষণ শুরু হয়েছে। তবে গোটা বিষয়টি টপসিক্রেট রাখা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর রদবদলের আশঙ্কা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরে। এই জেলাকে ঢেলে সাজাতে চাইছেন অভিষেক। তাই সংগঠন ও প্রশাসন দুই ক্ষেত্রেই রদবদলের আশঙ্কা রয়েছে। এই জেলায় নন্দীগ্রাম বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় শুভেন্দু অধিকারীর কাছে হারের পরই জেলার সংগঠন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিষেকের নজর রয়েছে বীরভূম জেলাতেও। এই জেলায় অনুব্রত মণ্ডলের রাশ টানতে মরিয়া অভিষেক। বীরভূমের কোর কমিটির গুরুত্ব বাড়াতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। বীরভূমের তিনটি পুরসভা- সিউড়ি, রামপুরহাট, বোলপুর নজরে রয়েছে। অন্যদিকে হাওড়া ও হুগলির একাধিক পুরসভায় রদবদল আসন্ন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।