তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমরা বলছি যে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করা যাবে না। এই রাজ্যে কাউকে হিংসা ছড়াতে দেব না।'
মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে আবারও সম্প্রীতির বার্তা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও শক্তিশালী করার জন্য পদক্ষেপ করেছে। এই রাজ্যে দাঙ্গাকে উস্কে দেওয়ার রাজনীতি সফল হবে না। তৃণমূলে নব জোয়ার কর্মসূচি বর্তমানে মুর্শিদাবাদে এসেছে। নবগ্রামে একটি জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন,মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন সরকার কাউকেই এই রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে দেবনা।
অভিষেক বলেন, 'আমরা বলছি যে বাংলার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত করা যাবে না। এই রাজ্যে কাউকে হিংসা ছড়াতে দেব না।' তিনি আরও বলেন, তৃণমূল সরকার এই কথা রাখার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, যারা এই রাজ্যে দাঙ্গা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে তাদের উদ্দেশ্য কখনই সফল হবে না। সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্রে বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। আগে এই আসনটি তৃণমূল কংগ্রেসের ছিল। যা নিয়ে মমতা অভিযোগ করেন সাগরদিঘিতে বাম , বিজেপি আর কংগ্রেসের অসাধু জোট জয়ী হয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই মন্তব্য করেছেন বলেও রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
এদিনও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মনরেগা প্রকল্প বা একশো দিনের কাজ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। কেন্দ্র রাজ্যের প্রাপ্য টাকা দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন রাজ্যের প্রাপ্য টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র সরকার হিংসার রাজনীতি করছে বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন ২০২১ সালের নির্বাচনে বিজেপি এই রাজ্যে হেরে গেছে। তাই রাজ্যের সাধারণ মানুষের সঙ্গে হিংসা বা প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে।
তবে সাম্প্রদায়িক হিংসা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তিি বলেছেন, 'অভিষেকের কথা যদি সত্যি হয় যে এই রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে তাহলে তৃণমূল সরকার একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে খুশি করতে ব্যস্ত।'
রাম নবমীর মিছিলের সময় এই রাজ্যের হুগলি আর হাওড়াতে বিক্ষিপ্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। সেই সময়ই এক ব্য়ক্তিকে অস্ত্র সহ গ্রেফতার করা হয়েছে। সেই ব্যক্তিকে নিয়েও তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ রয়েছে। দুই দলই তাদের সদস্য নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্য়ে দলের শক্তি বৃদ্ধির জন্য গত ২৫ এপ্রিল থেকেই তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। এটি মূলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন কর্মসূচি। তিনি এই কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা সফর করছন। অভিষেকের এই কর্মসূচির জন্য প্রচুর পরিমাণে পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিতে। বিভিন্ন জেলা থেকে পুলিশ কর্মী নিয়ে আসা হচ্ছে যখন অভিষেকে যে জেলায় যাচ্ছেন সেখানকার জন্য। কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে দুটি অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেছে। যারপরে আরও বাড়ান হয়েছে নিরাপত্তা। যা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী।