ফের একবার তৃণমুলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির (Hooghly) খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে।
ফের একবার তৃণমুলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল। দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে উত্তেজনা ছড়াল হুগলির (Hooghly) খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতিতে।
এমনকি, ঐ পঞ্চায়েত সমিতির মহিলা সভাপতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠল দলেরই কয়েকজনের বিরুদ্ধে। এছাড়াও পঞ্চায়েত সমিতির বেশ কয়েকজন সদস্যকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে।
সোমবার, তৃণমুলের দুই পক্ষের জমায়েত থেকে উত্তেজনা ছড়ায় পঞ্চায়েত সমিতি অফিসের বাইরে। এমনকি, জমায়েত এড়াতে লাঠি উঁচিয়ে পুলিশকে তাড়াও করতে দেখা যায়। খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করেছিল শাসকদল তৃণমূল। তারপর থেকেই পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হক ওরফে রাঙা গোষ্ঠীর সঙ্গে খানাকুল-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি দীপেন মাইতির গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায়।
তার আগে এই দীপেনের অনুগামীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ এবং সদস্য পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে, স্থায়ী কমিটি পর্যন্ত ভেঙে যাওয়ার উপক্রম হয়।
অন্যদিকে, সেই পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিকে টিকিয়ে রেখে একাধিপত্য ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালায় নইমুল ওরফে রাঙা গোষ্ঠী। আর এই বিষয়কে কেন্দ্র করেই, খানাকুল-১ পঞ্চায়েত সমিতির একটি বৈঠক ডাকা হয়। তখনই এই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এদিকে এই সংঘর্ষের জেরে, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শম্পাদেবীর মাথা ফাটে। সেইসঙ্গে, পঞ্চায়েত সমিতির কার্যালয়ের বাইরে দুই গোষ্ঠীর প্রায় কয়েকশো লোক জমায়েত হন। স্লোগান এবং পাল্টা স্লোগানের লড়াই শুরু হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো বেগ পেতে হয় পুলিশকে।
রাঙা গোষ্ঠীর হাতে আক্রান্ত হয়ে বৈঠক থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাপস ঘোষ নামে এক পঞ্চায়েত সদস্য জানান, তাঁকে নাকি বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর পোশাকও ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। তিনি রীতিমতো কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ম্যাডামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে মেরে। আমাকেও মারধর করা হয়েছে। গত ১৫ বছর ধরে তোলা তুলছে ওরা।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।