
Birbhum TMC: আবার শিরোনামে অনুব্রত মণ্ডল আর কাজল শেখের বীরভূম (Birbhum)। তবে এবার আর দুই নেতার জন্য নয়। কিন্তু এবার আর রাজনৈতিক কারণে নয়। খাবার বিক্রেতাকেই পিটিয়েই সংবাদে নিজের নাম তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন (Sheikh Naziruddin)। তবে এই ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয়রা পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। শেষপর্যন্ত চাপে পড়ে পুলিশ আটক করে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে।
শিঙারার দোকানে চাটনি কম দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনার প্রতিবাদে খাদ্য বিক্রেতাকে সকলের সময়ই সমাটে চড় মারের বীরভূমের দুবরাজপুরের তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর শেখ নাজিরউদ্দিন। বৃহস্পতিবার রাতের ঘটনা। স্থানীয় একটি কালী মন্দিরের কাছে শিঙারা খাচ্ছিলেন সাত নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আর তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ নাজিরউদ্দিন। কিন্তু দোকানি অল্প পরিমাণে চাটনি দিয়েছে। এই অভিযোগেই মেজাজ হারিয়ে সকলেরই সামনে দোকানিকে সটাটে চড় মারেন কাউন্সিলর। দোকানের কর্মী জিতেন্দ্র সাহা জানিয়েছেন, তিনি কাউন্সিলরকে চিনতেন না। দোকানে এসে শিঙারা কেনন নাজিরউদ্দিন। শিঙারা দেওয়ার পরেই অতিরিক্ত চাটনি চান নাজিরউদ্দিন। কিন্তু দোকানি দিতে নারাজ। তারপরই দোকানে দাঁড়িয়েই নাজিরউদ্দিন চড় মারেন জিতেন্দ্রনাথ সাহাকে। জিতেন্দ্রের কথায় সেই সময় কাউন্সিলর হুমকিও দিয়েছিল। বলেছিল, 'উনি আমাকে বলবেন, চিনিস আমি কে? এরপরই এত জোরে চড় মারলেন যে আমি মাটিতে পড়ে যাই।'
এই ঘটনার পরই এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। স্থানীয়রা কাউন্সিলের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ বিক্ষোভ দেখায় ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রথমে স্থানীয়দের শান্ত করার চেষ্টা করে। কিন্তু স্থানীয়রা কথা না শোনায় শেষপর্যন্ত উত্তেজিত জনতার চাপে পড়ে গ্রেফতার করা হয় নাজিরউদ্দিনকে। রাতের দিকে ওঠে অবরোধ বিক্ষোভ।
পরে অবশ্য তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর দোকানির কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। যদিও নাজিরউদ্দিন চড় মারার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, 'আমি চাটনি চাইতেই ওই দোকানকর্মী আমাকে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি দেন৷ তখন আমি ওনাকে একটা ঠেলা মারি, কিন্তু চড় আমি মারিনি৷ তার পরেও আমি ভুল স্বীকার করে নিই৷ তা সত্ত্বেও এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে।'
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।