সেই ডাকসাইটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে উড়ছে জয় শ্রী রাম পতাকা! বাড়ির ছাদে দেখা গেল হনুমানের ছবি-আঁকা পতাকা! সেই পতাকার নিচে আবার লেখা, ‘জয় শ্রীরাম’! কেন! কীভাবে!
বীরভূমের বাঘ এখন জেল হেফাজতে। বীরভূমের অবিসংবাদিত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল ছাড়া একসময় ভোট ভাবা যেত না। সেই অনুব্রত মন্ডলকে ছাড়াই লোকসভা নির্বাচন চলছে। সোমবার ভোট জেলায়। আর তাতে নেই অনুব্রত। খাঁ খাঁ করছে বাড়ি। যে বাড়িতে একসময় লেগে থাকত হাজারো লোকের আনাগোনা।
দুর্নীতি মামলায় তিহাড় জেলে কন্যা সুকন্যা মন্ডলের সাথেই সহকারাবাসে রয়েছেন অনুব্রত। একটা সময় দিনভর ভিড় লেগে থাকত অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের বাড়ির বাইরে। তবে সেসব এখন অতীত। নির্বাচনের আবহে ফের একবার চর্চায় কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডল। তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের কথায় বারবার উঠে আসছে অনুব্রত মন্ডলের নাম। মমতা নিজে বলেছেন, ‘দেখবেন নির্বাচন ফুরিয়ে গেলেই অনুব্রত ছাড় পেয়ে যাবে। ওকে বিজেপি করতে প্রেশার দেওয়া হয়েছে।’
সেই ডাকসাইটে তৃণমূল নেতার বাড়িতে উড়ছে জয় শ্রী রাম পতাকা! বাড়ির ছাদে দেখা গেল হনুমানের ছবি-আঁকা পতাকা! সেই পতাকার নিচে আবার লেখা, ‘জয় শ্রীরাম’! কেন! কীভাবে! অনুব্রত তো বাড়িতে নেই, তাহলে কে বা কারা এই কাজ করল! হাজারো প্রশ্ন উঠছে এই ঘটনা ঘিরে। তাহলে কি কোনও আপস হল! জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার জন্য এই একটাই পথ বেছে নিচ্ছেন অনুব্রত? এসব প্রশ্নের উত্তর লুকিয়ে রয়েছে সময়ের গহ্বরে।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের মত, নির্বাচনের পরে অনুব্রত মণ্ডল সত্যিই ছাড়া পেলে তার সাথে বাড়ির ছাদে এই পতাকা ওড়ার সম্পর্ক রয়েছে। যদিও তৃণমূলের মুখপাত্র জামশেদ আলি খান জানাচ্ছেন, ধর্মপরায়ণ মানুষ অনুব্রত মণ্ডল। তাই তার বাড়িতে ‘জয় শ্রীরামে’র পতাকা উড়লে তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। রাম তো আর কারোর একার নয়। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে এখন রাজনৈতিক আলোচনা তুঙ্গে।
বিরোধীরা ইস্যু পেয়ে ছাড়ছেন না আলোচনা। কংগ্রেস নেতা জয়দেব মুখোপাধ্যায় বলছেন, অধীর চৌধুরী আগেই বলে গিয়েছিলেন জেলের বাইরে বেরোতে হলে অনুব্রত মণ্ডলকে বিজেপির পতাকা হাতে বের হতে হবে। তাই সেই রকম কিছু ঘটলে অবাক হওয়ার ব্যাপার নেই।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক গৌতম ঘোষ এই বিষয়ে বলতে গিয়ে বলেছেন, সবাই বুঝতে পারছেন বিজেপির সাথে যোগাযোগ রাখলেই ছাড় পাওয়া যায়। তাই যোগাযোগ রাখছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও। তবে অনুব্রতর বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা জানিয়েছেন এই বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।