WB Crime News: বন্দুক উঁচিয়ে দিনেদুপুরে নাবালকের শাসানি, তারপরের ঘটনা জানলে শিউরে উঠবেন!

Published : Jul 12, 2025, 02:19 PM IST
Asianet News

সংক্ষিপ্ত

West Bengal News: দিনেদুপুরে পিস্তল উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা দুই নাবালকের। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল এলাকায়। কোথায় ঘটল এমন ঘটনা? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন। 

দাঁতন: প্রকাশ্য দিবালোকে দুই নাবালককে বেধড়ক পেটানো হচ্ছে দড়ি দিয়ে বেঁধে! তাদের হাতে রয়েছে বন্ধুক! ভিডিয়ো ভাইরাল সমাজ মাধ্যমে। (যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা)। ঘটনাকে ঘিরে তীব্র বিতর্ক। জানা গিয়েছে শুক্রবার দুপুরে দাঁতন দু'নম্বর ব্লকের রসুলপুর গ্রামে দেশলাই কিনতে গিয়েছিল দুই নাবালক। দোকান বন্ধ থাকায় সেই সময় দোকান ভাঙচুরের চেষ্টা চালায় তারা। হাতে বন্দুক উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শনেরও চেষ্টা করে।

এরপরই স্থানীয়রা তাকে ধরে দড়ি দিয়ে বেঁধে গণধোলাই দেয়। খবর পৌঁছয় দাঁতন থানার পুলিশের কাছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় দুজন নাবালকে আটক করেছে দাঁতন থানার পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুজনের বাড়ি দাঁতনের সাবরা এলাকায়। এই ঘটনায় রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনা অনভিপ্রেত বলে দাবি শাসক দল তৃণমূলের।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যে বন্ধুক ওই নাবালকদের হাতে ছিল তা এয়ারগান। ভীতি প্রদর্শনের জন্যই এয়ারগান ব্যবহার করা হয়েছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দাঁতন থানার পুলিশ।

অন্যদিকে, রাতের অন্ধকারে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরের দোকানপাট। জেসিবি দিয়ে শুক্রবার মধ্যরাতে সব দোকান ভেঙে দেওয়া হয়। আগেই উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছিল রেল। সেই নোটিশের বিরোধীতা করে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার ঝাঁটা হাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছিলেন। হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন জোর করে উচ্ছেদ করলে প্রতিবাদ হবে।

কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো বিনা বাধায় সব দোকান ভেঙে দিলো রেল। জেসিবি চলল প্রচুর আরপিএফ এর উপস্থিতিতে। দশকের পর দশক ধরে ব্যান্ডেল স্টেশন এলাকায় রেলের জায়গায় দোকান চালিয়ে রুটিরুজি চালাতেন পরিবারগুলো।অমৃত ভারত প্রকল্পে ব্যান্ডেল স্টেশনকে আধুনিক করা হবে। পরিকাঠামো আমূল বদল হবে। তাই দখলকারীদের উচ্ছেদ শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ।

তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘’রাতের অন্ধকারে চোরের মত কাজ করেছে রেল। মানুষ বুঝুক কতটা অমানবিক কেন্দ্র সরকার।'' দলের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান বিধায়ক। পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না এই দাবিতে আন্দোলন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপি নেতা সুরেশ সাউ বলেন, ‘’বিধায়ক জানতেন তারা যেটা করছেন সেটা বেআইনি। তাই গতকাল রাতে যখন উচ্ছেদ হচ্ছে তখন তৃণমূল নেতাদের দেখা পাওয়া যায়নি। দুদিন ধরে ঝাঁটা হাতে নিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করেছেন। ভোটের রাজনীতির জন্য।''

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?