বহরমপুরের বাইপাস দিয়েই দিয়ে দেদার গাড়ি চালান অধীর চৌধুরী। কখনও আবার হ্যান্ডেল ছেড়ে স্টান্টবাজিও দেখান।
অধীর চৌধুরীর বাইকবাজির ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। কবে হেলমেট ছাড়া হিন্দি সিনেমার হিরোদের মত বাইরে সওয়াল হওয়া নিয়ে রীতিমত বিতর্কেও পড়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অনেকেই নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। অধীরের সমর্থকরা ধন্য ধন্য করলেও বিজেপি আর তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক সমর্থকই তীব্র সমালোচনা করেছেন।
বহরমপুরের বাইপাস দিয়েই দিয়ে দেদার গাড়ি চালান অধীর চৌধুরী। কখনও আবার হ্যান্ডেল ছেড়ে স্টান্টবাজিও দেখান। হেলমেট ছিল না। সাধারণ টুপি পরেই কামাল করেন অধীর চৌধুরী। তার পিছেনও এক ব্যক্তি বসে ছিলেন। তিনিও ছিলেন হেলমেট ছাড়া। তবে অধীর যে তীব্র গতিতে রয়াল এনফিল্ড বুলেট ছোটাচ্ছেন অধীর চৌধুরী। সঙ্গে রয়েছে অধীরের অনুগামীরা। তারাও রীতিমত মজা পয়েছেন অধীরের তীব্রগতিতে বাইক ছোটানো দেখে।
ভাইরাল ভিডিও নিয়ে রীতিমত বিতর্কে পড়েছেন অধীর চৌধুরী। তাঁর বাইক চড়ার ভিডিও ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছেন, হেলমেট ছাড়া বাইক চড়ার জন্য পুলিশ যদি তাঁকে কোনও শাস্তি দেয় তাহলে তিনি তা মাথা পেতে নেবেন। তিনি আরও বলেছেন, তিনি যেখানে বাইক চালাচ্ছিলেন সেখানে আর কেউ ছিল না। অনেক দিন পরে বাইক চড়লেন তিনি। আর এই জায়গায় তাঁর পুরনো অনেক স্মৃতি রয়েছে। সেই কারণে এই সফর তিনি খুব উপভোগ করেছেন।
রিপোর্ট অনুসারে অধীর একটি বাইকে করে ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে বেছে নিয়েছিলেন এবং প্রায় ১১ কিলোমিটার তার রয়্যাল এনফিল্ডে চড়েছিলেন। রাস্তার দুপাশে লোকজন ছিল যাদেরকে অধীর তার বাইক থেকে অভ্যর্থনা জানাল।
অধীর চৌধুরী বরাবরই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকেন। সংসদের শেষ বর্ষা অধিবেশনে, মণিপুর ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সমালোচনা করার পরে অধীরকে অসদাচরণের জন্য স্থগিত করা হয়েছিল। দ্রৌপদী মুর্মুকে নিয়েও তিনি বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন ২০২২ সালে রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরে।