
দুর্গা পুজোর বিসর্জনের আনন্দ মুহূর্তেই বদলে গেল আতঙ্কে। এরজন্য দায়ী বীরভূমের মারগ্রামের গ্রামীণ পুলিশ বা ভিলেজ পুলিশ। বিসর্জন দেখতে আসা এক যুবকের মুখে বাজি ছুঁড়ে দিল এক ভিজেল পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আক্রান্ত যুবক এখন চিকিৎসাধীন।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে দশমীর রাতে চাঁদপাড়া গ্রামে প্রতিমা নিরঞ্জনের শোভাযাত্রা চলছিল। এলাকার বাসিন্দারা ভিড় জমিয়েছিলেন প্রতিমা নিরঞ্জন দেখতে।সেই সময়েই স্ত্রীকে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হেমন্ত বাগদি নামের স্থানীয় এক যুবক। অভিযোগ সেই ভিড়ের মধ্যেই স্থানীয় ভিজেল পুলিশ ওই যুবকের মুখ লক্ষ্য করে একটি নিষিদ্ধ বাজি চকোলেট ছুঁড়ে দেয়। সেই বাজি যুবকের মুখের মধ্যেই ফেটে যায়। যুবকের ঠোঁট আর মুখ থেকে রক্ত বেরোতে দেখা যায়। এই ঘটনায় বিজয়ার আনন্দ মুহূর্তেই আতঙ্কে পরিণত হয় । গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
আহত যুবককে তড়িঘড়ি রামপুরহার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু অবস্থার অবণতি হওয়ায় যুবককে স্থানান্তরিত করা হয়। নিয়ে আসা হয় বর্ধামান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু বর্তমানে ওই যুবকের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেও জানা গিয়েছে।
স্থানীয়দের দাবি যে বাজিটি যুবকের মুখে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে সেটি সাধারণ কোনও বাজি নয়, নিষিদ্ধ চকোলেট বোম। কিন্তু এই নিষিদ্ধ বাজি কী করে ভিলেজ পুলিশের হাতে গেল তাই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। এই ঘটনার পরই গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যদিও স্থানীয় পুলিশ সংশ্লিষ্ট যুবককে আটক করেছে. জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পরিষ্কার নয়, কেন এমন ঘটনা ঘটিয়েছিল ভিলেজ পুলিশ। এটি নিছক দুষ্টুমি নাকি শত্রুতা- তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। আক্রান্ত যুবকের পরিবার অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করেছে।