Rain Update: খাতায় কলমেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষার প্রবেশ, ঝমঝমিয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বলেই পূর্বাভাস

নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছিল। কিন্তু তারপর উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টানা ২০ দিন থমকে ছিল। তারপর শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করেছে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্ষা প্রবেশ করলেও এখনই তেমন বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী উত্তরবঙ্গে এখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতি অব্যহত থাকবে।

কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায় শনিবার থেকেই বৃষ্টির তেমন সম্ভাবনা নেই। দু’একটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বৃষ্টি হতে পারে। কলকাতা, হুগলি এবং উত্তর ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। কিন্তু ভারী ও টানা বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস নেই।

রবিবার পর্যন্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে। বৃষ্টির সঙ্গে কোথাও কোথাও বইতে পারে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।

পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমেও শনিবারের পর থেকে আর বৃষ্টি হবে না।

আলিপুর হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গ শুক্রবার মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও এখনও সর্বত্র তা পৌঁছায়নি।

আলিপুর হাওয়া অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বর্ষা ঢুকলেও এখনও বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।

উত্তরবঙ্গের ওপর দিয়ে একটি অক্ষরেখা বৃস্তৃত রয়েছে। সেই কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে ঢোকা জলীয় বাষ্প দক্ষিণে অর্দ্রতা বৃষ্টি করছে। আর বৃষ্টি হচ্ছে উত্তরবঙ্গে।

আলিপুর হাওয়া অফিসের বার্তা অনুযায়ী অস্বস্তি আপাতত থাকবে। কিন্তু আগের মত ভ্যাপসা গরমের সম্ভাবনা নেই। পশ্চিমের জেলাগুলিও তাপ প্রবাহের থেকে রেহাই পাবে আপাতত।