দমদমের তাপমাত্রা প্রায় ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এমনই ঠান্ডার দাপট চলবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
পৌষ সংক্রান্তির আগেই কনকনে ঠান্ডা। কলকাতার পারদ নেমেছে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে। গতকাল ছিল মরশুমের শীতলতম দিন। কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দমদমের তাপমাত্রা প্রায় ১১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এমনই ঠান্ডার দাপট চলবে বলে জানা গিয়েছে। আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, শনিবার ছিল কলকাতার শীলততম দিন। রবিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৩ ডিগ্রি সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার থেকেই তাপমাত্রার পারদ ছিল নিম্নগামী। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এখনও উত্তুরে হাওয়ার দাপট বাড়ছে। শুষ্ক আবহাওয়া বর্তমান রয়েছে। তাই তাপমাত্রার পারদ আরও নামার সম্ভাবনা রয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত এমনই ঠান্ডা থাকবে।
আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী শীতের পথে কাঁটা হতে পারে বৃষ্টি। বুধ ও বৃস্পতিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তার জেরে তাপমাত্রার পারদ কিছু চড়তে পারে। দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলাকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। তবে কলকাতার তাপমাত্রার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের সব জেলার তাপমাত্রা আগামী কয়েক দিন নিম্নগামী থাকবে। পশ্চিমের জেলাগুলির তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে। অন্যদিকে কনকনে ঠান্ডা উত্তরবঙ্গে। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে আগামী সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে। বুধ ও বৃস্পতিবার উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় বৃষ্টি হতে পারে।
বাঁকুড়া, বর্ধমান, পুরুলিয়া সহ পশ্চিমের জেলাগুলিতে প্রায় ৯ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কলকাতাতেও পারদ সর্বোচ্চ ২৩ ডিগ্রি পেরোয়নি, সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গেছে প্রায় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আগামী দুই এক দিনের মধ্যে ঠান্ডা আরও পড়বে বলেও পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের। রাতের দিকে তাপমাত্রা ২ থেকে ৪ ডিগ্রি কমতে পারবে বলেও পূর্বাভাস। আপাতত টানা কয়েকদিন উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস না থাকলেও ভোরের দিকে কুয়াশার কারণে ব্যাপকভাবে কমে যেতে পারে দৃশ্যমানতা।