শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরাতে কড়া নিয়ম জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে।
বাংলার সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য জারি করা হল কড়া নিয়ম। না মানলেই অ্যাটেনডেন্স রেজিস্টারে পড়বে লাল কালির দাগ। মানে সেই দিন ধরা হবে অনুপস্থিত। কী নিয়ম জারি করল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ! জেনে নিন বিস্তারিত।
শিক্ষক শিক্ষিকাদের হাজিরাতে কড়া নিয়ম জারি করেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে। আর এই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরও ১০ মিনিট আগে স্কুলে ঢুকতে হবে শিক্ষক শিক্ষিকাদের। পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে স্কুলে ঢুকে না পড়লে খাতায় পড়বে লাল কালির দাগ। পর্ষদের দাবি স্কুলে সময়ানুবর্তিতা চালু করতেই এই উদ্যোগ তাঁদের।
পর্ষদের তরফে জানানো কোনও শিক্ষক শিক্ষিকা এগারোটা পনের মিনিটের পর স্কুলে ঢুকলে ওই দিনটিকে তাঁর ছুটি হিসেবে গণ্য করা হবে। এতদিন শিক্ষক শিক্ষিকাদের স্কুলে ঢুকতে হত ১০.৫০ মিনিটের মধ্যে। নতুন শিক্ষাবর্ষে সেই সময় ১০ মিনিট এগিয়ে এসেছে। অর্থাৎ ১০.৪০ মিনিটের মধ্যে স্কুলে ঢুকতে হবে। না হলে হাজিরা খাতায় পড়বে লাল কালির দাগ।
সারা সপ্তাহে শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য ক্লাসের রুটিন পাঠাতে হবে পর্ষদকে। সপ্তাহে কে, কটা কতক্ষণ ধরে ক্লাস নিচ্ছেন তারও খুঁটিনাটি জানবে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। বিষয়টি প্রধান শিক্ষকও নজরে রাখবেন। আগাম না জানিয়ে ছুটি নিতে পারবেন না শিক্ষক শিক্ষিকারা, তাও জানিয়েছে পর্ষদ।
এর আগে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সরকারি স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের চিঠি দেয় বলে সূত্রের খবর। সেখানে নানা তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। সরকারি স্কুলে কর্মরত শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা রয়েছে তা দেখে নিতে চেয়েছিল শিক্ষা দফতর। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে শিক্ষা দফতরকে বিষয়টি খোঁজ নিতে বলা হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠানো চিঠিতে নানা প্রশ্ন দেখতে পেয়েছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক–শিক্ষিকারা। এত বছর পর এগুলি জানাতে হবে ভেবে তাঁরা বেশ বিচলিত হয়ে পড়েছেন।
স্কুলে শিক্ষকতা করার অভিজ্ঞতা কত বছরের? এই প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে শিক্ষক–শিক্ষিকাদের। তার সঙ্গে শিক্ষাগত যোগ্যতা কত? তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এই তথ্যের মধ্য থেকে অনেক কিছু বেরিয়ে আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ বাম জমানায় যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের যোগ্যতা ছিল কিনা সেটা পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করছে পর্ষদ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।