প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গ সফরে আসার পরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেল সিবিআই। ফলে সন্দেশখালি মামলা অন্য দিকে মোড় নিল।
কলকাতা হাইকোর্টের স্পষ্ট নির্দেশের পরেও টালবাহানা চলছিল। তবে শেষপর্যন্ত বুধবার শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে পেল সিবিআই। ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে নিয়ে নিজাম প্যালেসে রওনা হলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সরাসরি অবশ্য শাহজাহানকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যাওয়া হয়নি। ভবানী ভবন থেকে শাহজাহানকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্তর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়। এরপর শাহজাহানকে সিবিআই দফতরে নিয়ে যাওয়া হল। সেখানে তাকে জেরা করা হবে। শাহজাহানের বিরুদ্ধে লোকজন জড়ো করে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা চালানো-সহ বহু অভিযোগ রয়েছে। এবার সেই সমস্ত অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। তবে ইডি আধিকারিকদের উপর হামলার ঘটনাই সিবিআই-এর তদন্তের মূল বিষয়।
হাইকোর্টের দেওয়া সময়সীমা পার
মঙ্গলবারই শাহজাহানকে সিবিআই হেফাজতে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু এই নির্দেশের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। শীর্ষ আদালত অবশ্য রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপর বুধবার বিকেল ৪টে বেজে ১৫ মিনিটের মধ্যে শাহজাহানকে সিআইডি হেফাজত থেকে সিবিআই হেফাজতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কিন্তু হাইকোর্টের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শাহজাহানের হেফাজত পায়নি সিবিআই। তবে শেষপর্যন্ত সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে হেফাজতে পেল সিবিআই।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ
ইডি-র পক্ষ থেকে অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু কলকাতা হাইকোর্টে দাবি করেন, শাহজাহানকে সিআইডি হেফাজত থেকে হস্তান্তরিত না করে আদালত অবমাননা করেছে রাজ্য সরকার। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেনি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করা হচ্ছে। সিবিআই-এর পক্ষ থেকেও দাবি করা হয়, হাইকোর্টের নির্দেশ মানছে না সিআইডি। শেষপর্যন্ত অবশ্য জটিলতার অবসান হল।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
সন্দেশখালির অজুহাতে 'দিদি'কে কটাক্ষ, বাংলাকে গ্রাস করছে তৃণমূল: প্রধানমন্ত্রী মোদী