আবারও রাজ্যের বুকে এক নির্মম ঘটনা। মদের আসরে বচসা থেকে শ্যালকের হাতে আক্রান্ত হলেন জামাইবাবু।
আবারও রাজ্যের বুকে এক নির্মম ঘটনা। মদের আসরে বচসা থেকে শ্যালকের হাতে আক্রান্ত হলেন জামাইবাবু।
রবিবার, রাতে দেগঙ্গা থানার অন্তর্গত বেড়াচাঁপা পারুইপাড়া এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটেছে। জানা যাচ্ছে, ত্রিশূল দিয়ে জামাইবাবুকে আক্রমণ করেন তাঁর নিজের শ্যালক। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, অভিযুক্ত সুভাষ পাড়ুইকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই আটক করা হয়েছে। এদিকে, জামাইবাবু বিভাস রায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল।
স্থানীয় এবং পুলিশ সূত্রে জানা গেছে যে, শ্যালক সুভাষ পাড়ুই এবং জামাইবাবু বিভাস রায় দুজনেরই বাড়ি দেগঙ্গার বেড়াচাঁপার কাছে পারুইপাড়া এলাকায়। রবিবার, রথের মেলায় দুজনে মিলে পরিচিত একজনের দোকানে কেনাকাটা করেছিলেন। তারপর বাড়ি ফেরার আগে এলাকার একটি পুকুরের ধারে বসে দুজন নাকি মদ্যপান করেন।
অভিযোগ, মদের আসরেই দুজনের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেই পুকুরধার সংলগ্ন একটি গাছের নিচেই একটি শিবলিঙ্গ ছিল। সেই শিবলিঙ্গের পাশেই ছিল একটি ত্রিশূল। ঝামেলার মধ্যে আচমকাই তাঁর শ্যালক হটাৎ ঐ ত্রিশূল নিয়ে জামাইবাবুর দিকে তেড়ে যান এবং বুকে আঘাত করেন।
তখন বিভাসবাবুর আর্তনাদেই স্থানীয়রা জড়ো হয়ে যান ঐ এলাকায়। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে তাঁকে উদ্ধার করে দেগঙ্গার বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর বারাসাত সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।
এই প্রসঙ্গে আক্রান্তের আত্মীয় রাখী পারুই জানান, “রথের মেলায় কেনাকাটা করে শালা এবং জামাইবাবু দুজন মিলে মদ্যপান শুরু করে। সুভাষই গালিগালাজ করছিল বিভাসকে। বিভাস তার প্রতিবাদ করতেই পাশে থাকা একটি ত্রিশূল নিয়ে সুভাষ তাঁকে আক্রমণ করে। আমরা সবাই সুভাষের সাজা চাই।”
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।