সরকারি কর্মীদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে, ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে ধর্নায় ক্ষোভ প্রকাশ রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই পদক্ষেপকে বিভ্রান্তকর বলেও দাবি করেছে। পাশাপাশি ঘুরিয়ে এই পদক্ষেপকে বিরোধীদের মদতপুষ্ট বলেও দাবি করেছেন তিনি।

 

Web Desk - ANB | Published : Apr 10, 2023 3:44 AM IST

বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে রাজধানীতে ধর্না অ নআন্দোলনকারীদের। ৯ এপ্রিল থেকেই দু'দিনের কর্মসূচিতে যোগ দিতে কলকাতা থেকে প্রায় ৫০০-এরও আন্দোলনকারী। সোমবার দিল্লির যন্তর-মন্তরে দু'দিনের অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি সরকারি কর্মীদের। কলকাতাতেও চলবে আন্দোলন। অবস্থান বিক্ষোভে যোগ দিতে রবিবার সকালেই প্রায় আড়াইশো জন দিল্লি পৌঁছেছেন। আরও অন্তত ৩০০ জন আজই পৌছবেন দিল্লি। তবে রাজ্য সরকারি কর্মীদের এই ধর্নাকে ভালোভাবে নিচ্ছে না রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এই পদক্ষেপকে বিভ্রান্তকর বলেও দাবি করেছে। পাশাপাশি ঘুরিয়ে এই পদক্ষেপকে বিরোধীদের মদতপুষ্ট বলেও দাবি করেছেন তিনি।

রাজ্য অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে ধর্না নিয়ে বিরুপ মনোভাব পোষোন করছেন। তাঁর কথায়,'আমি ওঁদের দাবি নিয়ে কিছু বলব না। তবে আদালত ওঁদের সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসতে বলেছে। তা না করে ওঁরা দিল্লিতে ধর্নায় বসছে। এর পেছনে কার মদত তা মানুষ দেখতেই পাচ্ছে।' তিনি আরও বলেন,'আদালতের কথা মত সরকারের সঙ্গে আলোচনায় না বসে যাঁরা দিল্লিতে অবস্থানে বসতে মদত দিচ্ছে তাঁরা বিভ্রান্ত করছে। রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের বেতন তো কেন্দ্র দেয় না।'

১০ ও ১১ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে ধর্না দেওয়ার কথা সরকারি কর্মীরা। কমপক্ষে আরও দু'শো কর্মীর ধর্নায় যোগ দেওয়ার কথা। সোম ও মঙ্গলবার শুধু রাজধানীতে ধর্নাই নয় রাষ্ট্রপতি দৌপদী মুর্মু এবং উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখরের সঙ্গেও দেখা করবেন তাঁরা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন ও কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছেও ডেপুটেশন জমা দেবেন তাঁরা। অন্যদিকে এবারেও ধর্না নিয়ে কড়া মনোভাব নবান্নের। বার বার কর্মবিরোতি ও ধর্নার জেরে পরিষেবায় বিঘ্ন ঘটছে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। ফলত আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষপাতি নবান্নের একাংশ। পাশাপাশি রাজধানীতে গিয়ে ধর্না দেওয়ার নেপথ্যে বিরোধীদের ইন্ধনের ইঙ্গিতও দিচ্ছে রাজ্য সরকার।

প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মঘট ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছিল প্রশাসন। সমস্ত সরকারি কাজকর্ম যাতে স্বাভাবিক থাকে সেবিষয় হুঁশিয়ারি দিয়েছিল নবান্ন। এই মর্মে অর্থ দফতরের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে নির্দিষ্ট কারণ না দেখিয়ে ধর্মঘটের দিন ছুটি পাবেন না কোনও কর্মী। স্কুল কলেজ-সহ যাবতীয় সরকারি ও সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানও শুক্রবার পূর্ণ দিবস খোলা থাকবে বলেও এই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছিল। এই বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়ে এছিল একমাত্র কোনও কর্মচারী যদি আগে থেকে ছুটি নিয়ে থাকেন অথবা হসপাতালে ভর্তি থাকেন একমাত্র সে ক্ষেত্রে ছুটি মঞ্জুর হতে পারে।

আরও পড়ুন - 

বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে দিল্লিতে ধর্নায় যোগ দেওয়া কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া মনোভাব নবান্নের, নেওয়া হতে পারে পদক্ষেপও

পুরুলিয়ায় উঠল না রেল অবরোধ, কোটাশিলায় নতুন করে অবরোধ কুড়মি সম্প্রদায়ের

অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে বীরভূমে তৃণমূলের দায়িত্বে মমতা, বিজেপির হয়ে রবিবারই সভা করছেন শুভেন্দু

Share this article
click me!