Waqf Protest: মুর্শিদাবাদে প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তাতেই সবচেয়ে হিংসাত্মক হয়ে উঠল ওয়াকফ-বিক্ষোভ?

Published : Apr 16, 2025, 05:09 PM ISTUpdated : Apr 16, 2025, 05:33 PM IST
West Bengal: 3 people killed in Dhuliyan, Murshidabad in wake of mob violence against the Waqf (Amendment) Act

সংক্ষিপ্ত

Waqf Protests: সংসদে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পেশ হওয়ার সময় থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রতিবাদ শুরু হয়েছিল। এই বিল আইনে পরিণত হওয়ার পরেও আন্দোলন, আইনি লড়াই চলছে। সারা দেশে সবচেয়ে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে মুর্শিদাবাদে।

Violence in Murshidabad: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (Citizenship (Amendment) Act, 2019) হোক বা ওয়াকফ সংশোধনী আইন (Waqf Amendment Act, 2025), কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোনও আইনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি আন্দোলন, প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, হিংসা দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে মুর্শিদাবাদে সবচেয়ে হিংসাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। ২০১৯ সালে সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল। ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সময় তার চেয়েও খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়ি, দোকান, ধর্মস্থানে হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। অনেক বাড়ি, দোকান পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। মুর্শিদাবাদে কেন বারবার এই পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেই প্রশ্ন উঠেছে।

প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় মুর্শিদাবাদে হিংসা?

সংবাদমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মুর্শিদাবাদে হিংসার ছবি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। পাথর ছোড়া, অগ্নি সংযোগ, হিন্দুদের প্রকাশ্যে হুমকি, এমনকী বিএসএফ, পুলিশকে আক্রমণের ছবিও দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া ভিডিও নিয়ে বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে। হিংসার ঘটনায় অনেকেই উদ্বিগ্ন। পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছে। রাজ্য সরকার ও শাসক দলকে নিয়মিত আক্রমণ করে চলেছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। সাধারণ মানুষের মনে প্রভাব ফেলেছে এই ঘটনা।

 

 

মুর্শিদাবাদে এখনও চাপা উত্তেজনা

রাজ্য সরকার ও পুলিশ দাবি করছে, মুর্শিদাবাদের পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। কিন্তু যে পরিবারগুলি বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল, তারা এখনও নিজেদের বাড়িতে ফিরতে পারেনি। চাপা উত্তেজনা, থমথমে পরিবেশ রয়েছে। অনেক জায়গাতেই এখনও ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি রয়েছে। হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিজেপি-র দাবি, হিন্দুরা আক্রান্ত হলেও চোখ বুজে রয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। হিন্দুদের রক্ষা করার জন্য সরকার কোনও ব্যবস্থা করছে না।

 

 

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

PREV
click me!

Recommended Stories

সোম-মঙ্গল ২ দিনের ফের জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী, কোচবিহারে ঠাসা কর্মসূচি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
Today Live News: বন্দে মাতরম নিয়ে সংসদে আলোচনার শুরু - দুপুর ১২টায় বক্তব্য রাখবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী