আজ, বুধবার রাজভবনে বাংলার ২২ তম স্থায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। বিমান বসুর হাত ধরে তাঁকে সামনের সারির চেয়ারে এনে বসিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
জগদীপ ধনখড়ের পর আবার স্থায়ী রাজ্যপাল পেল পশ্চিমবঙ্গ। আজ, বুধবার রাজভবনে বাংলার ২২ তম স্থায়ী সাংবিধানিক প্রধান হিসাবে শপথ নিলেন সি ভি আনন্দ বোস। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ছাড়াও রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে উপস্থিত থাকতে দেখা যায়।
নয়া রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীও। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু, রাজ্যপালের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান অনুপস্থিত থাকতে দেখা যায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তড়িঘড়ি এই শূন্যস্থান পূরণ করতে অনুষ্ঠানে হাজির হন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার।
উল্লেখ্য, শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পেয়ে নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে তিনি উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু অনুষ্ঠান শুরুর একেবারে আগে দুটি টুইটবার্তা দেন তিনি। সেখানেই জানানো হয়, আজকের অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হবে না, তার কারণ, দুই বিজেপি ত্যাগী বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী এবং বিশ্বজিৎ কুণ্ডুর পাশে তাঁকে বসার জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তাই তিনি যাবেন না। ফলত, রাজ্যের বিরোধী দলের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের শুরুতে কিছুটা বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
শপথবাক্যের অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত ছিলেন বাংলার নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথ গ্রহণের পর তিনি বার্তা দিয়েছেন, রাজ্যে সংঘাত নয়, এক সঙ্গে পথ চলে উন্নয়ন সংঘটিত করতে হবে।
রাজ্যের বিভিন্ন দলের রাজনীতিকদের সঙ্গে সমাজের বহু গণ্যমান্য ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা তথা বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুও। তাঁর বসার জায়গা রাখা ছিল দ্বিতীয় সারিতে। কিন্তু, অনুষ্ঠানের আগে হঠাতই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিমান বসুকে দেখে এগিয়ে আসেন। জিজ্ঞেস করেন, ‘বিমানদা কেমন আছেন? পিছনে বসে কেন? সামনে আসুন।’ এর পরেই তিনি নিজে বিমান বসুর হাত ধরে তাঁকে সামনের সারির চেয়ারে এনে বসিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের শপথগ্রহণ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, “আমরা একজন বিদ্বান, দূরদর্শী মানুষকে রাজ্যপাল হিসেবে পেয়েছি। তাঁর যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার কাজে লাগায়।”
আরও পড়ুন-
বঁটি, কাটারি নিয়ে পুলিশকর্মীদের ওপর চড়াও শ’য়ে শ’য়ে গ্রামবাসী, অসম-মেঘালয় সীমান্তে ব্যাপক উত্তেজনা
কলকাতায় এসেই কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, পুরোহিতদের সঙ্গে করলেন বাক্যালাপও
চোখের সামনে যৌনতায় লিপ্ত হওয়ার আদেশ, মিলনরত যুগলের উপর ফেভিকুইক ঢেলে দিলেন তান্ত্রিক