মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বারাণসীর মতই গঙ্গা আরতি হবে এই রাজ্যে। বাছা হয়েছে কোন্নগরের বারো মন্দির ঘাট। এই মন্দিরে ১২টি শিবলিঙ্গ রয়েছে।
বারাণসীর মত এই রাজ্যেও গঙ্গার ঘাটে আরতি হোক। সোমবার নবান্নে এই ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সোমবারই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কলকাতার গঙ্গার ঘাট পরিদর্শনের বেরিয়েছিলেন রাজ্যের নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কলকাতার একাধিক ঘাট পরিদর্শন করেন তিনি। পাশাপাশি হাওড়ার ঘাটও পরিদর্শন করেন। যান কোন্নগরেও। মঙ্গলবার কোন্নগর পুরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বারো মন্দির ঘাটে এবার থেকে সন্ধ্যারতি হবে- বারাণসীর মতই।
মঙ্গলবার নারকেল ফাটিয়ে শাঁখ - ঘণ্টা বাডিয়ে গঙ্গা পুজো হয়। প্রথা মেনেই শুরু হয় গঙ্গা আরতি। উপস্থিত ছিলেন কোন্নগর পুরসভার মেয়র স্বপন দাস। আগামী দিনে এই এজায়গাকে আরও সুন্দর করে সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে পুরসভা কর্তৃপক্ষের। দর্শনার্থীদের সুবিধের কথাও মাথায় রাখা হবে বলে সূত্রের খবর। এদিন গান্ধার ঘাটের মাপ দেওয়া হয়। এই এলাকায় আরতির সময় যাতে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তারজন্য রেলিং দেওয়া হবে। আগামী বৃহস্পতিবার অর্থাৎ লক্ষ্মীবারেই শুরু হবে কোন্নগর বারো মন্দির ঘাটে গঙ্গা আরতি।
বারো মন্দিরের পুরোহিত জানিয়েছেন গঙ্গার পশ্চিমকূল বারাণসীর সমান। একই পুণ্য অর্জন করা যায়। আর বারো মন্দিরে ১২টি শিবলিঙ্গের নিত্য পুজো হয়। বহু প্রাচীন এই গঙ্গার ঘাট। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এই এলাকায় গঙ্গার আরতি হচ্ছে শুনে তিনি সরকারকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন গাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছেগঙ্গোত্রী থেকে। উত্তারখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড হয়ে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সাগরে মিসেছে। আর সেই কারণে মা গঙ্গাকে পুজো করার জন্য এই রাজ্য উপযুক্ত স্থান। গঙ্গার পুজোর জন্যই গঙ্গার আরতি করা হয়।
কোন্নগর পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন দাস বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর থেকে কোন্নগর পুরসভার কাউন্সিলর, মহকুমা প্রশাসন আলোচনায় বসে। সেখানেই বারো মন্দিরের প্রসঙ্গ উঠে আসে। তিনি আরও বলেন এই মন্দিরে জ্যোতিলিঙ্গ রয়েছে। আর এই ঘাটে বগু মানুষ সকাল-সন্ধ্যায় আসে। মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছেকে মর্যাদা দিতেই গঙ্গা-আরতি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে স্থানীয় বাসিন্দা খুশি। যারা বারাণসী যেতে পারেননি তারা কোন্নগরে আরতি দেখেব।
যদিও বিজেপির এই বিষয়ে কটাক্ষ করেছে। বলেছে যোগীকে নকল করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা করেন না। তার উত্তরে স্বপন দাস বলেন বিজেপি তৈরি হওয়ার আগে থেকেই অনেক মহাপুরুষ গঙ্গা আরতি করেছেন। এটা নিয়ে রাজনীতি না করাই শ্রেয় বলে মনে করেন তিনি।