নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তিনটি জেলার তিনটি ব্লকে ভোট বাতিল করেছে। সব থেকে বেশি ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ায়।
গণনায় কারচুপির অভিযোগে রাজ্য নির্বাচন কমিশন রাজ্যের তিনটি বুথে ভোট বাতিল করছে। এর ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের ওপরও প্রভাব পড়বে। কিন্তু তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না । তারণ রাজ্যের বিরোধীদের খড়কুটোর মত ভাসিয়ে দিয়ে একচ্ছত্র জয় হাসিল করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর সেই কারণে ২০ বুথের নতুন ফলাফল যাইহোক না কেন তেমন কোনও প্রভাব পড়বে না।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন তিনটি জেলার তিনটি ব্লকে ভোট বাতিল করেছে। উত্তর ২৪ পরগনার হবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল ও হুগলির সিঙ্গুর। সবথেকে বেশি ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়া, ১৫টি বুথের ভোট বাতিল হয়েছে। হাবড়া ২ এর চারটি বুথের ভোট বাতিল হয়েছে। আর হুগলির সিঙ্গুরের একটি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে। কারণ তিনটি জেলাতেই বিরোধীদের থেকে অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
হাওড়ার ফলাফল -
জেলা পরিষদের ৪২টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিরোধীরা কোনও আসনই পায়নি। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৭০এর মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৪৫৫। বিজেপি ৭ আর বামেরা মাত্র ১টি আসন পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতও তৃণমূল নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্টতা পেয়েছে বলা যেতে পারে। তৃণমূলের দখলে ২৬৬৭টি আসন। তাই ১৫টি বুথের ফলাফল যাই হোক না কেন তা তেমন প্রভাব ফেলবে না।
উত্তর ২৪ পরগনার ফলাফল-
জেলা পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ট তৃণমূল কংগ্রেস। ৬৬টি আসন দখলে রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৪৬৪টি আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৪৩১টি আসন। দ্বিতীয় স্থানে বিজেপি ২৫টি আসন পেয়েছে। বামেরা মাত্র ৫টি আসন পেয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতেও তৃণমূল অনেক এগিয়ে। মাত্র ৪টি বুথের ফলাফল প্রভাব ফেলবে না।
হুগলির ফলাফল-
জেলা পরিষদে ৫৩টির মধ্যে ৫১টি আসন পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পঞ্চায়েত সমিতিতে ৬১৯টির মধ্যে তৃণমূলের দখলে ৫৬৩টি আসন । বিজেপি ৪৫টি আসন পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত তিন হাজারের বেশি আসন পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই জেলার এক বুথের ভোট ফলাফলের ওপর কোনও প্রভাবই ফেলবে না।
উত্তর থেকে দক্ষিণ, পূর্ব থেকে পশ্চিম- ঘাসফুল শিবিরের জয় অব্যাহত রয়েছে। কোনও জেলা পরিষদেই দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। নির্বাচনের আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েক তৃণমূল নবজোয়ার কর্মসূচির পাশাপাশি জনসংযোগ যাত্রার কারণেই এই বিশাল সাফল্য কিনা তা নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করতে পারে বিরোধী শিবির। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ ভোট সন্ত্রাসের কারণেই এই সাফল্য তৃণমূলের ঘরে। বিরোধী শূন্য ৮টি জেলা পরিষদ।