গণনার দিন শুরু থেকেই কোচবিহারে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিল তৃণমূল। হার মানেনি বিজেপিও। সকাল থেকেই চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের পাখির চোখ ছিল উত্তরবঙ্গ। গত পঞ্চায়েত ভোট থেকেই সংগঠন গোছানোর কাজ শুরু করেছিল বিজেপি। কিন্তু ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে একপ্রকার ভরাডুপি হল পদ্মদলের। প্রত্যাশামাফিক ফল হল না বিজেপির। উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ জেলা কোচবিহার। উল্লেখ্য ভোট পর্বে ভয়াবহ সন্ত্রাসের সাক্ষীও থেকেছে এই জেলা। গণনার দিন শুরু থেকেই কোচবিহারে বেশ খানিকটা এগিয়ে ছিল তৃণমূল। হার মানেনি বিজেপিও। সকাল থেকেই চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই।
কোচবিহার জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন সংখ্যা ২৫০৭। বিকেল ৪টে পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী ফলাফল ঘোষণা হওয়া ৯৫টি আসনের মধ্যে ৭০টিই পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। সেখানে বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ২১টি আসন। ৪টি আসনে জয়লাভ করেছে বামেরা। এখন পর্যন্ত একটিও আসন পায়নি কংগ্রেস ও আইএসএফ। উল্লেখ্য একসময় বাম শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের শক্ত ঘাটি ছিল এই কোচবিহার। তবে এখন প্রায় ক্ষয়ীষ্ণু অবস্থা।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাও খুব ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। দার্জিলিং, কালিম্পং দুই জেলাতেই শুরু থেকেই এগিয়ে তৃণমূল ঘনিষ্ট দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। পঞ্চায়েতেও পাহাড়ের মন পেল না পদ্ম শিবির। এখন পর্যন্ত পাওয়া ট্রেন্ড অনুযায়ী দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই জেলাতেই বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে অনিত থাপার দল। মাত্র একটি আসনে জয়ী বিজেপি। ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের পেয়েছে একটি আসন। নির্দল প্রার্থীদের দখলে ৪টি আসন। ২টি আসন রয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়।
অন্যদিকে, আরাবুলের গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। ভাঙরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রাম পোলেরহাট ২। একসময় গোটা ভাঙরের রাশ থাকত আরাবুলের হাতেই। তবে এখন আর সেই প্রতিপত্তি নেই। এবার আর আরাবুলের হাতে ছিল না ভাঙরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত ভোট সামলেছেন ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং তাঁকে সাহায্য করেছেন বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।