দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই জেলাতেই বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে অনিত থাপার দল। মাত্র একটি আসনে জয়ী বিজেপি। ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের পেয়েছে একটি আসন।
পাহাড়ে এগিয়ে অনিত থাপার দল। দীর্ঘ ২২ বছর পর পঞ্চায়েত নির্বাচন হল পাহাড়ে। শুরু থেকেই এগিয়ে তৃণমূল ঘনিষ্ট দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা। পঞ্চায়েতেও পাহাড়ের মন পেল না পদ্ম শিবির। এখন পর্যন্ত পাওয়া ট্রেন্ড অনুযায়ী দার্জিলিং ও কালিম্পং দুই জেলাতেই বেশ কিছু আসনে এগিয়ে রয়েছে অনিত থাপার দল। মাত্র একটি আসনে জয়ী বিজেপি। ইউনাইটেড গোর্খা অ্যালায়েন্সের পেয়েছে একটি আসন। নির্দল প্রার্থীদের দখলে ৪টি আসন। ২টি আসন রয়েছে ত্রিশঙ্কু অবস্থায়।
বিজিপিএম-এর দখলে কোন কোন কেন্দ্র?
দার্জিলিং -
কার্শিয়াং
মিরিক
কালিম্পং
অন্যদিকে, আরাবুলের গড়ে ধাক্কা খেল তৃণমূল। ভাঙরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বিধায়ক আরাবুল ইসলামের গ্রাম পোলেরহাট ২। একসময় গোটা ভাঙরের রাশ থাকত আরাবুলের হাতেই। তবে এখন আর সেই প্রতিপত্তি নেই। এবার আর আরাবুলের হাতে ছিল না ভাঙরের দায়িত্বও। পঞ্চায়েত ভোট সামলেছেন ক্যানিং ২-এর বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং তাঁকে সাহায্য করেছেন বিধাননগরের পুরসভার চেয়ারম্যান সব্যসাচী দত্ত। আরাবুলকে আলাদা করে কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। ভোটের ফলেও এবার অন্য কথাই বলল। আরাবুলের নিজের গ্রামে জিতল না তৃণমূল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে একাধিকবার শোনা গিয়েছে তাঁর মামাবাড়ির গ্রাম কুসুম্বাগ্রামের কথা। বীরভূমের মপুরহাট মহকুমার অন্তর্গত এই গ্রাম। একে অনুব্রতহীন বীরভূমের দায়িত্ব নিজের হাতে নিয়েছিলেন তিনি। তার উপর নিজের শৈশবের গ্রাম। সব মিলিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাই ভোল্টেজ এলাকা বীরভূম। যদিও বীরভূম নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে গণনায় দেখা যাচ্ছে উল্টো ফল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর মামাবাড়ির গ্রামেই জয় বিজেপির। এই ফলাফলে বেশ বড়সর ধাক্কা খেয়েছে ঘাসফুল শিবির।