শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন রাজ্যের শতাধিক WBCS ও ২০ জন IAS অফিসার তাকে নবান্নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। সেই কারণে তিনি রাজ্যের দুর্নীতিগুলি ফাঁস করতে পারেন।
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগের শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন। রাজ্য় সরকার কী কী পদক্ষেপ করছে তাও আগাম জানিয়ে দেন শুভেন্দু। কিন্তু কী করে নবান্নের গোপন তথ্য় ফাঁস করেন বিজেপি নেতা? এই প্রশ্ন ঘুরে যখন উত্তাল বাংলা তখনই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জানিয়ে দিলেন তিনি কোথা থেকে সেই তথ্য পান। তিনি জানিয়েছেন রাজ্য সরকারের তথ্য দিয়ে তাঁকে সাহায্য করেন রাজ্য প্রশাসনেরই কর্তা ব্যক্তিরা।
25
শতাধিক WBCS ও ২০ জন IAS অফিসার তথ্য যোগায় শুভেন্দুকে?
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন রাজ্যের শতাধিক WBCS ও ২০ জন IAS অফিসার তাকে নবান্নের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করেন। সেই কারণে তিনি রাজ্যের দুর্নীতিগুলি ফাঁস করতে পারেন। এই জন্য সংশ্লিষ্ট অফিসারদের তিনি ধন্যবাদও জানিয়েছেন। নবান্নের একাধিক ব্লু প্রিন্ট তাঁর কাছে ঘুরপথে এসে পৌঁছায় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের হাত ধরে। তেমনই জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
35
শুভেন্দুর বার্তা
শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, 'BLOদের পরিবর্তন করার জন্য বলেছেন, কিন্তু তা পারবেন না। যা করছেন কমিশন রাজ্যের ভোটার তালিকা তৈরি করতে পারবে না। তালিকা তৈরি করতে না পারলে ভোটও হবে না। মমতার প্রশ্নসন নির্বাচন কমিশনকে বুড়ো আঙুল দেখাচ্ছে। ' এরপরই শুভেন্দু তাকে যে সব প্রশাসনিক কর্তারা সাহায্য করেন তাদের নাম না করেই ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুভেন্দুর কথায় এরা প্রকারান্তে রাজ্যেরই উপকার করছেন।
শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যের পরই পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'তাহলে শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করে তার থেকে বিষয়টি জেনে নিতে হবে। যদি কোনও অফিসার এভাবে সরকারি তথ্য পাচার করে বা সরকারের বিরুদ্ধে গুপ্তচরবৃত্তি করে তাহলে সেটা খতিয়ে দেখা উচিৎ। তদন্ত হওয়া জরুরি।'
55
প্রশাসন ও রাজনীতি
তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি রাজ্য সরকারের একাধিক দুর্নীতি ফাঁস করেছেন। রাজ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক তছরুপেরও অভিযোগ করেছেন। কখনও কোনও রিপোর্ট তুলে ধরেন। কখনও তিনি কোনও বই থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। এবার কোথা থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য তিনি পান তাই ফাঁস করেন বিরোধী দলনেতা। যদিও এই ঘটনা এই রাজ্যে নতুন নয়, বাম জমানাতেও এই ঘটনা ঘটেছিল। রাজ্যের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কর্তাদের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য দিয়ে সরব হতেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।