কেন প্রকল্পের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? ৩ বছর পরে গোপন কথা ফাঁস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। কিন্তু কেন এই নাম? প্রকল্প চালু হওয়ার প্রায় তিন বড় পরে বড় তথ্য ফাঁস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Saborni Mitra | Published : Dec 7, 2024 11:30 AM IST
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প
রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলাদের মাসের ১ হাজার ও পিছিয়ে পড়া তফশিলি জাতি ও উপজাতির মহিলাদের ১২০০ টাকা দেওয়া হয়।
জনপ্রিয় প্রকল্প
এই রাজ্য তো বটেই ভিন রাজ্যেই যথেষ্ট জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার তৃণমূলের ভোট বৈতরণী পারের মূল উপাদান।
কিন্তু কেন এই নাম
কেন প্রকল্পের নাম লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? নিউজ ১৮ বাংলায় একটি সাক্ষাৎকারে এই রহস্য ফাঁস করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান কেন প্রকল্পের নাম রেখেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের গ্রাহক
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের গ্রাহকের সংখ্যাও যে চলতি মাস থেকে বেড়েছে তাও জানিয়েছেন মমতা। তিনি বলেন বর্তমানে বাংলায় ১ কোটিরও বেশি মানুষ এই প্রকল্পের টাকা পান। রাজ্যের খবর হয় ৫০ হাজার কোটি টাকা।
মুখ্যমন্ত্রীর গর্বের প্রকল্প
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন এই প্রকল্প নিয়ে তিনি গর্বিত। তিনি আরও বলেন, ভাল জিনিস যদি কেউ কপি করে তাহলে সেটিকে স্বাগত জানানো উচিৎ।
নামকরণের কারণ
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, 'দিদিরা মায়েরা বোনেনা সবসময় সঞ্চয় রাখতেন। যখন কোনও সমস্যা দেখা দিত হাতে পয়সা নেই, তখন তাদের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার ভেঙে পয়সাটা খরচ করতেন। সেই থেকে এই প্রকল্প।'
প্রকল্পে বাধা নেই
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছেন এই প্রকল্পে কোনও বাধানেই। সকলেই প্রকল্পের টাকা পেতে পারেন। গাড়ি বাড়ি থাকলেও পাওয়া যাবে প্রকল্পের টাকা।
২০২১ সালে পথ চলা
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের পথ চলা শুরু ২০২১ সালে। বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল প্রকল্পের কথা। ক্ষমতায় ফিরে টাকা দেওয়ার কাজ শুরু করে মমতা-সরকার।
ভোক্তার সংখ্যা বৃদ্ধি
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ও দুয়ারে সরকারের মাধ্যমে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য অনেক নতুন আবেদন এসেছে। তাদের সকলকে এই প্রকল্পে যুক্ত করা হয়েছে।
শশী পাঁজার বয়ান
সম্প্রতি রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলার ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন মহিলা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পেয়েছেন।