লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে বড় নির্দেশ অর্থ দফতরের, প্রকল্পে টাকা পেতে মানতে হবে বিজ্ঞপ্তি
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রুপশ্রী-সহ একাধিক জনকল্যাণমূলক প্রকল্প চালায় রাজ্য সরকার। কিন্তু তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাবের জন্য দেওয়া টাকা তছরুপ হওয়ার পরই সতর্ক নবান্ন। সরকারি প্রকল্পের টাকা সুরক্ষিত রাখতে কড়া পদক্ষেপ করল রাজ্য।
Saborni Mitra | Published : Dec 7, 2024 10:59 AM IST
রাজ্যের সরকারি প্রকল্প
রাজ্য সরকারি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে শুরু করে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ একাধিক প্রকল্প টাকা দেয়। রাজ্যের সবথেকে জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।
সব প্রকল্পে টাকা দেওয়ার নিয়ম
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প সহ রাজ্য সরকারের সবকটি প্রকল্পের টাকাই রাজ্য সরকার সরাসরি উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়ে দেয়।
টাকা চুরি
সম্প্রতি তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা জালিয়াতি হয়েছিল বলে অভিযোগ। পডুয়াদের টাকা জালিয়াতরা তুলে নিয়েছিল।
সতর্ক নবান্ন
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের টাকা জালিয়াতির পরই টাকা নিয়ে সতর্ক নবান্ন। সরকারি প্রকল্পের টাকা সুরক্ষিত রাখতে একাধিক পদক্ষেপ করেছে রাজ্য সরকার।
সরকারি পদক্ষেপ
তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের দুর্নীতির পরই রাজ্য সরকার সরকারির প্রকল্পের টাকা সুরক্ষির রাখতে কঠোর পদক্ষেপ করেছে। ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রক একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।
অর্থমন্ত্রকের নির্দেশ
অর্থমন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী সরকারি প্রকল্পের টাকা দেওযার ক্ষেত্রে প্রত্যেকটি দফতরকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার নির্দেশিকা বা সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে।
সরকারি নির্দেশিকা
রিপোর্ট অনুযায়ী অর্থ দফতরের নির্দেশিকা অনুযায়ী উপভোক্তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর দুই বার নথিবদ্ধ করতে হবে। প্রথম নথিবদ্ধ অ্যাকাউন্টগুলি দেখা যাবে না। দ্বিতীয়টি দেখা যাবে। আইএফএসসি তালিকা যাচাই করতে হবে।
আইএফএসসি তালিকায় যাচাই
নির্দেশিকা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা মহিলার ব্যাঙ্কের পাসবুকের প্রথম পাতা বা বাতিল চেকের ছবি আপলোডের ব্যাবস্থা থাকবে।
অ্যাকাউন্ট যাচাই
বিভিন্ন নামে এক অ্যাকাউন্ট থাকতে তাও ধরা পজডবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের IFSC র তালিকা অনুযায়ী যাচাই হবে সংশ্লিষ্ট নম্বর। রাজ্যে ব্যাঙ্কের শাখা আছে কিনা তা দেখা হবে।
সংশোধন নয়
কোনও কারণে টাকা পাঠান না হেলে তা সংশোধন করা যাবে না। সেই টাকা আবার সরকারের ঘরে ফিরবে।গ্রাহকে এসএমএস পাঠিয়ে সরকারি প্রাপ্যের পরিস্থিতি জানবে।
১৬ দফা
সবমিলিয়ে ১৬ দফা নির্দেশ দিয়েছে অর্থ দফতরা।
মূল উদ্দেশ্য
সরকারি টাকা নয়ছয় আটকানো। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা আগেই এই প্রক্রিয়া চালু করা উচিৎ ছিল সরকারের।