দীর্ঘ দিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। আর তারপরই ম্যাজিক। বঙ্গে বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে শক্ত হাতে হাল ধরেন নেতা।
ধীরে ধীরে বয়স আর অসুস্থতার ভারে রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন একদা রাজনীতির চাণক্য মুকুল রায়। বর্তমানে তিনি বেশ অসুস্থ। মাঝেমধ্যেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়। এরই মধ্যে গত বছর এপ্রিল মাসে দিল্লিতে চলে যান অসুস্থ মুকুল রায়। শোনা গিয়েছিল রাজধানীতে অমিত শাহ সহ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে কেউ তার ডাকে সাড়া না দেওয়ায় খালি হাতেই ফিরে আসেন নেতা। এই লোকসভা ভোটে জোর ধাক্কা খাওয়ার পর মুকুল রায়ের অনুপস্থিতি কী অনুভব করল গেরুয়া শিবির? প্রসঙ্গ কিন্তু উঠছেই।
২০১৯ সালে। দীর্ঘ দিন তৃণমূলে থাকার পরে ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। আর তারপরই ম্যাজিক। বঙ্গে বিজেপিকে অক্সিজেন জোগাতে শক্ত হাতে হাল ধরেন নেতা। যেখানে ২০১৪ সালে মাত্র দু’খানা আসন গিয়েছিল বিজেপিতে, সেখানে উনিশে দিলীপের নেতৃত্বে ১৮ আসনে ফুটেছিল পদ্ম।
এরপর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্রে তাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। সেবারে বঙ্গে ৭৭ টি আসনে জয়লাভ করেছিল বিজেপি। দিলীপ-মুকুল দুই মাস্টারমাইন্ডের দৌরাত্ম্য দেখেছিল গোটা রাজ্য। তবে এরপরই ছন্দপতন। জেতার পর জুন মাসে তিনি আবার তৃণমূলে ফেরেন মুকুল রায়। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে আর সক্রিয় হননি রাজনীতিতে।
২০১৯ সালে সামনের সারি থেকে বিজেপির হয়ে জান-প্রাণ দিয়ে লড়েছিলেন মুকুল। কান্ডারি ছিলেন দিলীপ ঘোষও। বর্তমানে দিলীপ কোনো রকমে টিকে থাকলেও দলে নেই মুকুল রায়। ২৪-র ভোটে রাজ্যে ভরাডুবির পর কী মুকুলবাবুর গুরুত্ব টের পাচ্ছে বিজেপি? হয়ত এবার পাবে।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।