সর্ষের মধ্যে কি লুকিয়ে আছে ভূত? ভেঙে দেওয়া হল একাধিক গ্রুপ। এমনকী, 'বিভীষণ'দের খুঁজে বের করার লক্ষ্যে রীতিমতো তল্লাশি চলছে রাজ্য পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি অন্দরে। মণীশ শুক্লা খুনের তদন্তে এবার নয়া মোড়।
আরও পড়ুন: সম্পর্কে টানাপোড়েন, প্রেমিকার 'গলায় ছুরি চালিয়ে' আত্মহত্যার চেষ্টা যুবকের
ঘটনাটি ঠিক কী? ভরসন্ধেবেলায় টিটাগড় থানার সামনে ফিল্মি কায়দায় গুলি করে বিজেপি নেতা মনীশ শুক্লকে খুন করেছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্তে নেমেছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি। দিন কয়েক আগে একটি হোয়াটস অ্যাপ 'চ্যাট' প্রকাশ্যে আনেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। সাংসদের দাবি, ওই হোয়াটস অ্য়াপ গ্রেুপের যাঁরা সদস্য, তাঁরা সকলেই রাজ্য পুলিশের ১৯৯৮ সালে আধিকারিকরা। চ্যাটের স্কিনশট দেখিয়ে অর্জুনের অভিযোগ, মনীশ শুক্ল খুনে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন সিআইডি আধিকারিকরা। বস্তুত, চ্যাটের যে অংশটি প্রকাশ্য এসেছে, সেখানে মণীশ শুক্ল খুন নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ঘটনার শোরগোল পড়ে দিয়েছে রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার অন্দরে।
আরও পড়ুন"'পঞ্চায়েত নির্বাচন না করিয়ে ভুল হয়েছে', তৃণমূলের কর্মিসভায় স্বীকারোক্তি অনুব্রতের
সূত্রের খবর, রাজ্য পুলিশের ১৯৯৮ ব্য়াচের সব আধিকারিকই রয়েছেন ওই হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। কিন্তু চ্যাটের স্ক্রিনশট কীভাবে প্রকাশ্যে চলে এল? গ্রুপের সদস্য়দের কাছে ব্যাখ্যা চান রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষকর্তা ও সিআইডি-এর এক আধিকারিক। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, গ্রুপের কোনও সদস্যই স্ক্রিনশটের সাহায্যে চ্যাট ফাঁস করে দিয়েছেন। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে, সাংসদ অর্জুন সিং যে স্ক্রিনশটটি প্রকাশ্যে এনেছেন, সেটি জাল। এখন প্রশ্ন হল, যদি স্ক্রিনশটটি জালই হবে, ঘটনার পর তড়িঘড়ি গ্রুপটি ভেঙে দেওয়া হল কেন? আইপিএস অফিসারদেরই বা এই ধরণের আলোচনা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হল কেন? মুখে কুলুপ এঁটেছেন পুলিশ ও সিআইডি কর্তারা।