আধুনিক যুগেও মর্মান্তিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদ। স্ত্রীর গায়ের রং কালো হওয়ায় তাঁকে আগুনে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ উঠল স্বামী ও সহ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য এলাকায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন-বাংলায় একুশের নির্বাচনের তৎপরতা, নীলবাড়ি দখল নিতে চূড়ান্ত ব্যস্ততা শাসক-বিরোধী শিবিরে
নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলায়। জানাগেছে, ভগবানগোলা থানা এলাকার বাসিন্দা বছর চব্বিশের ফতেমা খাতুনের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয়েছিল পেশায় অটোচালক টিঙ্ক মণ্ডলের সঙ্গে। তাঁদের দুই সন্তানও আছে। অভিযোগ, স্ত্রীর গায়ের রং কালো হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে তাঁর মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার চালাত স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। মঙ্গলবার রাতে পরিবারে ফের অশান্তি শুরু হলে ফতেমার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন-বিজেপির বুথ কমিটির সম্পাদককে পিটিয়ে খুন, তৃণমূলের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে উত্তেজনা
আরও পড়ুন-বালি ব্রিজ থেকে তরুণীর মরণঝাঁপ, বরাতজোরে রক্ষা পেলেন যুবতী
আশঙ্কাজনক ও অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ফতেমা নিয়ে যাওয়া হয় ডোমকল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় স্থানান্তর করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। শ্বশুর বাড়ির নৃশংসতায় মেয়ের মৃত্যুতে অভিযুক্তদের কড়া শাস্তির দাবি জানিয়েছেন মৃতার মা আরজিনা বিবি। মেয়ের পুড়িয়ে মারার অভিযোগে বিচার চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন মা। ভগবানগোলা থানায় স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।