সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখতে ইচ্ছুক নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী, দেখা করতে চান 'মা' মমতার সঙ্গে

Published : Mar 15, 2022, 05:41 PM ISTUpdated : Mar 15, 2022, 05:54 PM IST
সক্রিয় রাজনীতিতে পা রাখতে ইচ্ছুক নিহত তৃণমূল কাউন্সিলরের স্ত্রী, দেখা করতে চান 'মা' মমতার সঙ্গে

সংক্ষিপ্ত

সোমবার অনুপম হত্যায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন মীনাক্ষী। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন তিনি। আজ সিআইডি তদন্তের কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটার পর সোমবারেই তার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। 

পানিহাটির তৃণমূল কাউন্সিলর (Panihati TMC Councilor) খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শম্ভুনাথ পণ্ডিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র। অনুপমকে (Anupan Dutta) খুন করার জন্য সুপারি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার ভোর রাতে গ্রেফতার করা হয় সুজিত পণ্ডিত ও প্রসেনজিৎ পণ্ডিত নামে আরও দু'জনকে। তদন্তে তৎপরতার পরও স্থানীয় পুলিশের উপর আস্থা রাখতে পারছেন না অনুপমের স্ত্রী মীনাক্ষী (Minakshi Dutta)। এই ঘটনায় সিবিআই কিংবা সিআইডি তদন্ত (CID Investigation) চেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banejee) সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীকে ‘মা’ বলে সম্বোধন করেছেন তিনি। এমনকী, সক্রিয় রাজনীতিতে (Politics) পা রাখতে চান বলেও জানিয়েছেন। 

সোমবার অনুপম হত্যায় সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) দাবি করেছিলেন মীনাক্ষী। তবে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেন তিনি। আজ সিআইডি তদন্তের কথা বলেছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার রাতে ওই ঘটনা ঘটার পর সোমবারেই তার তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে সিআইডি-কে। সোমবার দুপুরে সিআইডি-র পাঁচ সদস্যের একটি দল ঘটনাস্থল ঘুরে দেখে। স্বামীর হত্যায় জড়িতদের কড়া শাস্তির দাবি তুলেছেন মীনাক্ষী। 

আরও পড়ুন- পানিহাটির কাউন্সিলর খুনে জড়িত পুলিশের জালে আরও ৩, মূল অভিযুক্তকে আগ্নেয়াস্ত্র সরবারহের অভিযোগ

এরপর সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় মীনাক্ষী বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা। ওঁর কাছে আমার বিশেষ অনুরোধ, তাঁর সঙ্গে এক বার যেন আমি দেখা করতে পারি। আমার যা বলার ওঁকে বলব। আমার দু’টি সন্তান আছে। তাদের নিয়ে আগামীদিনে আমি কীভাবে চলব, তা আমি মায়ের কাছ থেকে জানতে চাই।" তখন সাংবাদিকের তরফে জানতে চাওয়া হয় তিনি কী সরকারি চাকরি দাবি করবেন? তার উত্তরে মীনাক্ষী বলেন, "না না আমি চাকরি চাই না। যে যুদ্ধে নেমে ধলু (অনুপম) জীবন হারিয়েছে, সেই যুদ্ধে আমি যাতে পায়ে পা মিলিয়ে চলতে পারি, উনি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) যেন আমাকে সেই আশীর্বাদ যেন করেন। আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসতে চাই।"

আরও পড়ুন, খুন করে জামা বদলে জঙ্গলে আশ্রয়, জানতেই আগুন লাগালো স্থানীয়রা, কাউন্সিলর খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

অনুপমকে কারা হত্যা করেছে, সেই বিষয়ে মীনাক্ষী বলেন, "এর পিছনে কারা, তা জানতে সিআইডি তদন্ত চাইছি। এত বড় শত্রুতা কে করতে পারে জানতে চাইছি। রাজনীতি করতে গেলে পায়ে পায়ে বিপদ। পায়ে পায়ে শত্রু থাকে। কিন্তু, এত বড় শত্রুতা যে প্রাণেই মেরে দিল।"

আরও পড়ুন, 'এভাবে আমাদের মেরে শেষ করা যাবে না', কাউন্সিলর হত্যাকাণ্ডে ধিক্কার ফিরহাদের

প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, পানিহাটিতে তৃণমূল কাউন্সিলরকে পরিকল্পনা করেই খুন করা হয়েছে। তবে খুনের নেপথ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, ব্যক্তিগত আক্রোশ নাকি প্রোমোটিং বিবাদ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যে হোগলা বন থেকে আততায়ীকে ধরা হয়, সেখানে উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোন। তবে তার মধ্যে সিমকার্ড মেলেনি। ফোনটি আততায়ীর বলেই মনে করা হচ্ছে। মিলেছে ট্রেনের টিকিটও। মেমারি থেকে শেওড়াফুলির রিটার্ন টিকিটটি রবিবার ২টো ৫০ মিনিটে কাটা হয়েছিল। ভাড়াটে খুনি ট্রেনে করেই এসেছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।

PREV
Read more Articles on
click me!

Recommended Stories

Mamata Banerjee: ‘তৃণমূল বিজেপির কাছে মাথা নত করে না!’ কোচবিহারে রণহুংকার মমতার
BJP News: নিউটাউনে তৃণমূলের বাড়ল অস্বস্তি! গেরুয়া শিবিরে দুই নেতা-কর্মীর যোগদান