যৌতুক নিয়ে বিয়ের আসরে ধুন্ধুমার, সিঁদুরদানের পর শ্বশুরবাড়ি যেতে অস্বীকার পাত্রীর

 

  • পণপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ
  • বিয়ের আসরে বেঁকে বসলেন পাত্রী
  • ছাদনাতলা থেকে খালি হাতে ফিরতে হল পাত্রকে
  • এমনই ঘটনা ঘটেছে মালদহে

Tanumoy Ghoshal | Published : Feb 5, 2020 3:07 PM IST

বিয়ের আসরে যৌতুক নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড। খোদ পাত্রীর আপত্তিতে ভেস্তে গেল বিয়ে। কনেকে না নিয়েই আসর থেকে ফিরতে হল বরকে! এমনই ঘটেছে মালদহে। পাত্র ও তাঁর বাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন পাত্রীর বাড়ির লোকেরা।

পাত্রের বাবা পেশায় ব্যবসায়ী। পুরাতন মালদহ পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের খয়েরাতি পাড়ায় থাকেন তিনি। স্থানীয় মঙ্গলবাড়ি এলাকার এক যুবতীর সঙ্গে ছেলের বিয়ের সম্বন্ধ করেছিলেন ওই ব্যবসায়ী। কিন্ত গোল বাঁধল বিয়ের দিন রাতে। ছাদনাতলায় যখন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছে, তখন যৌতুক নিয়ে পাত্র ও পাত্রীর বাড়ির লোকেদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয় বলে জানা দিয়েছে। ভরা আসরে পাত্রীর বাড়ির লোকেদের সঙ্গে রীতিমতো দুর্ব্যবহার, এমনকী মেয়ের বাবা ও আত্মীয়স্বজনদের ধাক্কাও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পাত্রীর বাড়ির লোকেদের দাবি, শ্বশুরবাড়িতে গেলে মেয়ে-কে দেখে নেওয়ার হুমকিও দেন পাত্রের বাড়ির লোকেরা। চোখের সামনে এমন ঘটনা দেখে আর চুপ করে থাকতে পারেননি কনে-ও।  জানা গিয়েছে, সিঁদুরদানের পর রুখে দাঁড়ান ওই তরুণী। বাড়ির লোককে সাফ জানিয়ে দেন, স্বামীর সঙ্গে শ্বশুরবাড়ি যেতে রাজি নন তিনি! ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। সদ্যবিবাহিতা স্ত্রীকে তাঁর বাড়িতে রেখেই ফিরে যেতে হয় স্বামীকে! ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। পাত্রীর বাড়ির লোকেরা থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

আরও পড়ুন: বাজারে প্রচুর দেনা, অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে গলা কেটে খুন স্বামীর

কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল? পাত্রীর মামা-র দাবি, বিয়েতে  আড়াই লক্ষ টাকা, ৮ ভরি গয়না, আসবাবপত্র দিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু টিভি দেওয়া বাকী ছিল। বিয়ের পর সেটি দেওয়ার কথা বলতেই পাত্রপক্ষের লোকেরা দুর্ব্যবহার করতে শুরু করেন। তবে ভাগ্নি বিয়ে ভেঙে দিয়ে যে সাহসিকতা পরিচয় দিয়েছেন, তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন তিনি। এদিকে আবার পাত্রীর বাড়ির লোকেরা বিরুদ্ধে পাল্টা দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন পাত্রের বাড়ির লোকেরা। বস্তুত, বিয়ের তাঁদের কোনও দাবিদাওয়াই ছিল না বলে দাবি করেছেন তাঁরা।

Share this article
click me!