লকডাউনের মাঝে এবার নৃশংসভাবে খুন হয়ে গেলেন এক মহিলা। কৃষ্ণনগরকাণ্ডে তিনদিন পর অবশেষে মৃতাকে শনাক্ত করলেন পরিবারের লোকেরা। তদন্তে পুলিশ।
আরও পড়ুন: করোনা বিধি মানতে গিয়ে বিপদে ব্যবসায়ী, দিনেদুপুরে লুঠ লক্ষাধিক টাকা
ঘটনার সূ্ত্রপাত বৃহস্পতিবার। সেদিন রাতে কৃষ্ণনগরের ভালুকা মাদারতলা এলাকায় রাস্তার পাশে এক মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মৃতার পিঠে ও মুখে গভীর আঘাতের চিহ্ন ছিল। যে অবস্থায় মৃতদেহটি পড়েছিল, তাতে ধর্ষণ করে খুনের সম্ভাবনাই বেশি। অন্তত তেমনটাই অনুমান এলাকার মানুষদের। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। মৃতদেহটি প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বিষ্ণুপুর গ্রামীণ হাসপাতালে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয় কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে। কিন্তু মৃতার পরিচয় কে? তা ধন্দে পড়েছিলেন তদন্তকারীরা।
আরও পড়ুন: পাত্রীর 'লগ্নভ্রষ্টা' হওয়ার আশঙ্কা, লকডাউনে নমো নমো করে বিয়ে সারলেন যুবক
শনিবার সকালে কৃষ্ণনগরে হাসপাতালে মৃতাকে শনাক্ত করেন তাঁর স্বামী-সহ পরিবারের লোকেরা। জানা যায়, বৃহস্পতিবার ছ'বছরের ছেলেকে সঙ্গে নদীয়ার মাজদিয়া বাপের বাড়িতে এসেছিলেন ওই গৃহবধূ। বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন তিনি, আর ফেরেননি। মৃতার শ্বশুরবাড়ি বর্ধমানের কালনার নাদনঘাটে। কিন্তু বাপের বাড়িতে এসে কেন খুন হয়ে গেলেন? খুনের আগে আগে কি ধর্ষণ করা হয়েছিল? খতিয়ে দেখছে পুলিশ।