সংক্ষিপ্ত
- করোনা বিধি মানতে গিয়ে ঘটল বিপত্তি
- দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়লেন ব্যবসায়ী
- দিনেদুপুরে লুঠ লক্ষাধিক টাকা
- আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়গঞ্জে
লকডাউন চলছে, করোনা সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে এবার দুষ্কৃতীদের খপ্পরে পড়লেন এক ব্যবসায়ী। দিনেদুপুরে লুঠ হয়ে গেল নগদ চার লক্ষ টাকা। আতঙ্ক ছড়িয়েছে রায়গঞ্জে। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: লকডাউনের বাজারে ত্রাণ 'আত্মসাতের চেষ্টা', অভিযুক্ত তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান
রায়গঞ্জ শহর থেকে দূরত্ব প্রায় পাঁচ কিমি। উত্তর দিনাজপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম বাজিতপুরে বঙ্গীয় গ্রামীণ বিকাশ ব্যাঙ্কের সিএসপি বা গ্রাহক সেবাকেন্দ্র চালান অমল রায় নামে এক ব্যক্তি। লকডাউনে ব্যাঙ্ককে ছাড় দিয়েছে প্রশাসন, খোলা থাকছে গ্রাহক সেবাকেন্দ্রগুলিও। তবে করোনা সতর্কতায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা ও গ্রাহক সেবাকেন্দ্রগুলিকে খোলা জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। আর সেই পরামর্শ মানতেই গিয়ে ঘটল বিপত্তি।
আরও পড়ুন: ক্যানসার আক্রান্তের শরীরে করোনা সংক্রমণ, ব্যারিকেড দিয়ে এলাকা ঘিরলেন স্থানীয়রাই
আরও পড়ুন: বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা, উত্তরপাড়ায় থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু করল পুরসভা
জানা গিয়েছে, লকডাউন শুরু হওয়ার পর থেকেই বাজিতপুর গ্রামের শেষপ্রান্তে খোলা মাঠে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় গ্রাহক সেবাকেন্দ্রটি। শুক্রবার আর্থিক লেনদেন নিয়ে এক ব্যক্তির সঙ্গে বচসা হয় সিএসপি-র মালিকের । তখনকার মতো ঝামেলা মিটেও যায়। শনিবার সকালে জনা দশেক যুবক বঙ্গীয় গ্রামীণ ব্যাঙ্কের গ্রাহক সেবাকেন্দ্রে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। মালিককে মারধর করে নগদ দশ লক্ষ টাকা ছিনতাই করে চম্পট দেয় তারা। গ্রাহক সেবাকেন্দ্রের মালিক অমল রায়ের দাবি, ছিনতাইবাজরা গ্রাহক সেজে লাইনে দাঁড়িয়েছিল। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলারা। কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। তাঁর আক্ষেপ, 'করোনা সতর্কতায় সরকারি নিয়ম মানতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনলাম।' এদিকে এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান রায়গঞ্জ থানার আইসি সুরজ থাপা। তবে এখনও পর্যন্ত দুষ্কৃতীদের সন্ধান মেলেনি।