জীবন কি এতই তুচ্ছ? প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসার কারণে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত নিতেও পিছুপা হলেন না এক গৃহবধূ। এদিকে আবার যে প্রতিবেশীর সঙ্গে বচসার কারণে ওই গৃহবধূ আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ, তিনিও হাসপাতালে ভর্তি বলে জানা দিয়েছে। ঘটনার রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে জলপাগুড়ি শহরে। দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
জলপাইগুড়ি স্টেশন লাগোয়া রেলওয়ে সিস্টার কলোনিতে স্বামী ও দুই সন্তানের সঙ্গে থাকতেন রিচা কুমারী। ওই দম্পতির মেয়ের বয়স তার, ছেলের বয়স তিন বছর। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, দিন কয়েক আগে প্রতিবেশী সীমা সিশোদিয়ার সঙ্গে তুমুল ঝামেলা হয় রিচার। তখন রিচার দুই সন্তানকে নাকি মারধরও করেছিলেন সীমা। রিচা কোনও প্রতিবাদ না করায় বিষয়টি মিটেও যায়। ছটপুজোর পরিবারের সঙ্গে বাইরে বেড়াতে গিয়েছিলেন সীমা। আশেপাশে লোকজনের অভিযোগ, বুধবার সকালে ফিরেই ফের সপরিবারে রিচা কুমারীর বাড়িতে চড়াও হন সীমা সিশোদিয়া। ঘটনার সময়ে রিচার স্বামী বাড়িতে ছিলেন না, ছেলেমেয়েরা স্কুলের গিয়েছিল। বাড়িতে একা পেয়ে রিচা, সীমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, এমনকী মারধরও করেন বলে অভিযোগ। সেই অপমানে রিচার কুমারী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ।
মৃতার স্বামীর নিরজ পেশায় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। বাড়িতে যখন তুলকালাম কাণ্ড চলছে, তখন তিনি জলপাইগুড়ি স্টেশনে ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। খবর পেয়ে বাড়িতে ফিরে স্ত্রী নিথর দেহে সামনে কান্নার ভেঙে পড়েন তিনি। জলপাইগুড়ি থানায় সীমা সিশোদিয়া ও তাঁর পরিবারের লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন রিচা কুমারীর স্বামী।