আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: চিকিৎসায় গাফিলতি নাকি পরিবারের অবহেলা? প্রসূতির মৃত্যুর প্রতিবাদে নার্সিংহোম বিক্ষোভ দেখালেন মৃতার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। উত্তেজনা ছড়াল বীরভূমের রামপুরহাটে।
জানা গিয়েছে, মৃতার নাম ইয়সামিনা বিবি। বাড়ি, রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস পঞ্চায়েতের পানিসাইল গ্রামে। ৩ সেপ্টেম্বর অন্তঃস্বত্ত্বা ওই গৃহবধূকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট শহরের হাসপাতাল পাড়া এলাকার একটি নার্সিংহোমে। সেদিন প্রসূতির অস্ত্রোপচার করেন চিকিৎসকরা। কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ইয়াসমিনা। এরপর ৭ সেপ্টেম্বর কোভিড পরীক্ষা-সহ চিকিৎসার জন্য রোগীকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্ত ইয়াসমিনাকে হাসপাতালে ভর্তি না করে বাড়ি নিয়ে চলে যান পরিবারের লোকেরা! অন্তত তেমনই দাবি নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের।
জানা গিয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর যখন ইয়াসমিনাকে সেলাই কাটার জন্য ফের নার্সিংহোমে নিয়ে আসা হয়, তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা রীতিমতো সংকটজনক। ওই অবস্থায় সেলাই কাটার ঝুঁকি নেননি চিকিৎসকরা। এরপর রোগীকে রামপুরহাট শহরেই এক চিকিৎসকের প্রাইভেট চেম্বার নিয়ে যান পরিবারের লোকেরা। তাঁর পরামর্শে ইয়াসমিনাকে শেষপর্যন্ত ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। রাতের দিকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। বর্ধমান মেডিক্যালে মারা যান ইয়াসমিনা বিবি।
আরও পড়ুন: গোঘাটে বিজেপি কর্মীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, এসডিও অফিসের সামনে ধর্না বিজেপি-এর
সোমবার সকালে রামপুরহাটের যে নার্সিংহোমে প্রথমে ভর্তি করা হয়েছিল, সেই নার্সিংহোমের সামনে মৃতদেহ এনে বিক্ষোভে দেখান মৃতার পরিবারের লোকে ও গ্রামবাসীরা। তাঁদের অভিযোগ, ভুল অস্ত্রোপচারের কারণে মারা গিয়েছেন ইয়াসমিনা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। যদিও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের দাবি, ভুল চিকিৎসায় নয়, বরং তাদের পরামর্শ মেনে হাসপাতালে ভর্তি না করার জন্য রোগী মারা গিয়েছেন।