মৌলিককান্তি মণ্ডল, নদিয়া: পরিবারের অমতে বিয়ে করেছেন রেজিস্ট্রি করে। প্রেমিকা নয়, স্ত্রীকে ফিরে পেতে এবার শ্বশুরবাড়ির সামনে প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধরনায় বসলেন এক যুবক। সঙ্গে রেজিস্ট্রি সংক্রান্ত নথি ও বেশ কয়েকটি ছবিও। ঘটনা চাঞ্চল্য ছড়াল নদিয়ার হরিণঘাটায়।
ওই যুবকের নাম বাবু মল্লিক। বাড়ি, নদিয়ার বিরোহীপাড়া এলাকায়। স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের বাপের বাড়ি স্থানীয় সোনাখালি গ্রামে। দু'জনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। কিন্তু মেয়ের সম্পর্কে প্রথম থেকে আপত্তি ছিল সঙ্গীতার পরিবারের লোকেরা। বাবু মল্লিকের দাবি, অগাস্ট মাসে বাড়ির লোককে না জানিয়েই রেজিস্ট্রি সেরে ফেলেন তাঁরা। মালাবদলও হয়, তবে সিঁদুরদানটা বাকি ছিল। আশা ছিল, পরে সকলেই বিষয়টি মেনে নেবেন। তখন সামাজিকভাবে বিয়ে করবেন দু'জনে। কিন্তু তা আর হল কই!
সঙ্গীতার বাড়ির লোকেরা যখন রেজিস্ট্রি ব্যাপারটি জেনে যান, তখনই গন্ডগোলের সূত্রপাত। অত্যাচারই শুধু নয়. ওই তরুণীকে পরিবারের লোকেরা গৃহবন্দি করে রাখেন বলে অভিযোগ। স্বামী বাবু শেখের দাবি, প্রথমদিকে তাও লুকিয়ে লুকিয়ে তাঁকে ফোন করতেন সঙ্গীতা। এখন তাও বন্ধ। কী আর করবেন! নিরুপায় হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পাওয়ার জন্য় ধরনায় বসার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সোমবার ভোরে প্ল্যাকার্ড, ছবি ও রেজিস্ট্রির নথি নিয়ে হাজির হন সোনাখালি গ্রামে, শ্বশুরবাড়িতে এবং ধরনায় বসে পড়েন। প্যাকার্ডে লেখা, 'আমার বউকে ফিরিয়ে দাও।' স্ত্রীকে না নিয়ে বাড়ি ফিরতে রাজি নন ওই যুবক।
আরও পড়ুন: এলাকায় নিকাশি নালা তৈরিতেও দুর্নীতি, বরাদ্দ টাকা 'আত্মসাৎ' পঞ্চায়েত প্রধানের
কী বলছেন সঙ্গীতার পরিবারের লোকেরা? জামাইয়ের অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁরা। তাঁদের পাল্টা দাবি, মেয়ে নাকি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল। তাই মন ভালো করতে তাঁকে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র পাঠানো হয়েছে। সত্যিই কি তাই? প্রশ্ন উঠেছে। বিয়ের আইনি নথি সত্ত্বেও কীভাবেইবা মেয়ে আটকে রাখা হচ্ছে? সে প্রশ্নও তুলেছেন অনেকেই।