ওই মহিলার বাবাই প্রথমে মেয়ের ঘরে অচেনা যুবককে ঢুকতে দেখেছিলেন। তারপর বাইরে থেকে ঘরে তালা দিয়ে দেন। খবর দেন প্রতিবেশীদের।
অন্য জেলা থেকে মুর্শিদাবাদের এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া করতে এসেছিলেন এক যুবক। কিন্তু, গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়ে যান তিনি। তারপরই হাত-পা বেঁধে তাঁকে গণধোলাই দেন স্থানীয়রা। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফতেপুর মাঝিপাড়া এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। হাত-পা বাঁধা অবস্থায় ঐ যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় দু'জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গণপিটুনির শিকার হওয়া যুবকের নাম স্বপন হাঁসদা(নাম পরিবর্তিত)। মুর্শিদাবাদের মাঝিপাড়ার বাসিন্দা এক গৃহবধূর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এই মহিলার দুই সন্তান রয়েছেন। স্বামীর সঙ্গে অনেকদিন ধরেই বনিবনা হয় না। তাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে বহুদিন ধরেই বাপের বাড়িতে এসে রয়েছেন। বাপের বাড়িতে থাকাকালীনই তাঁর সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক তৈরি হয়।
ওই মহিলার বাবাই প্রথমে মেয়ের ঘরে অচেনা যুবককে ঢুকতে দেখেছিলেন। তারপর বাইরে থেকে ঘরে তালা দিয়ে দেন। খবর দেন প্রতিবেশীদের। জানান, তাঁর মেয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়েছে, আর এর একটা মীমাংসা করতেই হবে। অভিযোগ, এরপরই স্বপনকে ধরে মারধর করেন গ্রামের বাসিন্দারা। তাঁর সঙ্গে ওই মহিলাকেও বেঁধে রাখা হয় বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন- ‘অন্যায়ভাবে’ বদলির প্রতিবাদ, বিকাশ ভবনের সামনে বিষ পান ৫ শিক্ষিকার
আরও পড়ুন- স্বাধীনতা দিবস পালনের পর রাস্তায় পড়ে নেতাজীর ছবি, কাঠগড়ায় শাসক দল, ধিক্কার শুভেন্দুর
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের দু'জনকে উদ্ধার করে পুলিশ। একে অপরকে বিয়ে করতে চান তাঁরা, একথা মুচলেখা দিয়ে জানান। স্বপনের কথায়, “আমার সঙ্গে শম্পার সম্পর্ক বহুদিনের। ও আমাকে ফোন করে ডেকেছিল। সেই মত আমি এসেছিলাম। আমি ওকে বিয়ে করতে চাই।” একই বক্তব্য ওই মহিলারও। তিনি বলেন, "স্বপনের কোনও দোষ নেই। ও আমাকে ভালোবাসে। আমিও ওকে ভালোবাসি। আমরা বিয়ে করতে চাই।" দুই প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের মধ্যে সম্পর্ক থাকলে কারও কিছু বলার নেই, এমনটাই মনে করছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- 'চেয়ারম্যান কি বিরোধীরাই হন', পিএসি মামলায় রাজ্যের কাছে জানতে চাইল আদালত