সংক্ষিপ্ত
- ঠাকরে পরিবার থেকে প্রথম হিসেবে মহারাষ্ট্রে ভোটে লড়েছেন আদিত্য ঠাকরে
- মুম্বইয়ের ওরলি আসনে ৬৭ হাজারেরও বেশি ভোটে জিতেছেন তিনি
- তাঁর জয়ের শিবসেনার পক্ষ থেকে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি জোরালো হয়েছে
- উদ্ধব ঠাকরেও মুখ্যমন্ত্রীর পদ সহজে ছেড়ে না দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন
ঠাকরে পরিবার থেকে প্রথম সদস্য হিসেবে ভোটে লড়ে প্রথমবারেই বড় জয় পেলেন আদিত্য ঠাকরে। শিবসেনার যুব দলের সভাপতি লড়েছিলেন মুম্বইয়ের ওরলি আসন থেকে। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এনসিপির সুরেশ মানে-কে ৬৭ হাজারেরও বেশি ভোটে পরাজিত করেছেন তিনি। একেবারে প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে ছিলেন আদিত্য। তাঁর জয়ের পরই ফের জোরালো হয়েছে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি।
মহারাষ্ট্রে বিজেপি শিবসেনা জুটিই স,রকার গড়তে চলেছে, এই বিষযে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এখনও পর্যন্ত গণনার যা প্রবণতা, তাতে বিজেপি গতবারের থেকে বেশ কয়েকটি আসন যে হারাতে চলেছে তাও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। আদিত্যের জয়ের পরই সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁর বাবা তথা শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে ইঙ্গিত দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী পদটা এইবার আর সহজে ছেড়ে দেবেন না তাঁরা।
তিনি বলেন , বাবা হিসেবে ছেলের এই দারুণ জয়ে তিনি গর্বিত। মহারাষ্ট্রের মানুষ তাঁর পুত্রকে এইভাবে আশীর্বাদ করায় রাজ্যবাসীকে তিনি ধন্যবাদও দেন। তারপরই তোলেন ৫০-৫০ ফর্মুলায় আসন ভাগাভাগির কথা।
উদ্ধব জানিয়েছেন, ভোটের আগে বিজেপির কিছু দাবি ছিল, তাঁরা সেগুলি জোটের স্বার্থে মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁদের নিজেদের দলের স্বার্থে এবার আর আপোষের রাস্তায় হাঁটবেন না। অমিত শাহ-এর সঙ্গে বৈঠকেই ৫০-৫০ ফর্মুলা তৈরি হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে মুখ্য়মন্ত্রীর পদেও যে পরিবর্তন করার আলোচনা হয়েছিল, তার ইঙ্গিতও দেন। দরকার পড়লে অমিত শাহ-কেও রাজ্যে াসতে হতে পারে বলে জানিয়েছেন শিবসেনা প্রধান।