সংক্ষিপ্ত

  • পুদুচেরিতে প্রাক ভোট সমীক্ষা 
  • জনমত সমীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 
  • ভোট বাড়বে বিজেপি ও সহযোগীদের 
  • রীতিমত কোনঠাসা হতে পারে কংগ্রেস 

বিধানসভা নির্বাচনে আবারও ধাক্কা খেতে পারে শতাব্দী প্রাচিন কংগ্রেস পার্টি। ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই নাটকীয়ভাবে পতন হয়েছে কংগ্রেস সরকারের। কিন্তু এখানেই শেষ নয় আরও বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করে রয়েছে বলেও ইঙ্গিত দিচ্ছে এশিয়ানেট নিউজ ও সি৪ (Asianet News & C4)-এর ভোট সমীক্ষায়। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এআইএডিএমকে, এনআর কংগ্রেস ও বিজেপি পদুচেরী নির্বাচনে প্রচুর ভোটে জয়লাভ করবে। এশিয়ানেট নিউজ ও সি৪ (Asianet News & C4)-এর সমীক্ষায় ৩০টি বিধানসভা কেন্দ্রের ৫০৭৭ জন ভোটারে সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। সমীক্ষার সময়কাল ৫ মার্চ থেকে ১২ মার্চ পর্যন্ত। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে এআইএডিএমকে, বিজেপি ও এনআর কংগ্রেস জোট পুদুচেরিতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে। একই সঙ্গে সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে এই জোট একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করবে। 


ভোট-চিত্র

৩০ আসনের পুদুচেরি বিধানসভা। সেখানে ২৩-২৭টি আসন দখল করতে পারে এআইএডিএমকে, এনআর কংগ্রেস, বিজেপি জোট। রাজ্যের ভোট চিত্রের একটি বড় পরিবর্তন হয়েছে বলেই প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষায় তথ্য পাওয়া গেছে। সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে গত নির্বাচনের তুলনায় তিন দলের জোটের ভোট ৫২ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনটি দলই একা একা লড়াই করেছিল। ২০১৬ সালের নির্বাচনে ডিএমকে কংগ্রেস প্রায় ৩৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু চলতি নির্বাচনে কংগ্রেস ডিএমকে জোটের ভোট পাওয়ার পরিমাণ ৩৬ শতাংশ কমে আসতে পারে বলেই ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তবে এখন ৩৩ শতাংশ মানুষই কংগ্রেস ডিএমকে জোটের ওপর আস্থা রেখেছে। 

ভোট ফ্যাক্টর 


এশিয়ানেট নিউজ ও সি৪ (Asianet News & C4)-এর সমীক্ষায় বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ফ্যাক্টর উঠে এসেছে।  ভোটাদের  গত পাঁচ বছর কংগ্রেস ডিএমকে জোটের শাসনকাল নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছে। শাসন ব্যবস্থায় তাঁরা কতটা খুশি জানতে চাওয়া হয়েছিল। তাতে ৪৪ শতাংশ ভোটারই জানিয়েছে জোটের শাসন ব্যবস্থায় তাঁরা অখুশি। ৩৪ শতাংশ মানুষের কাছে সরকারের কাজের মাপকাঠি ছিল সাধার। মাত্র ২২ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন প্রশাসনের কাজে তাঁরা সন্তুষ্ট। জনমত সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আস্থা রেখেছেন রাজ্যের মানুষ। ৩৯ শতাংশ মানুষই পুদুচেরিতে কেন্দ্রের সমর্থন মেনে নিয়েছেন তবে ৩৪ শতাংশ মানুষ বিষয়টির সঙ্হে সহমত পোষণ করেননি। কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল নিয়েও তাঁদের প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই সময় ২২ শতাংশই জানিয়েছেন তাঁরা রেশন পান না। ২০ শতাংশ মানুষ নিকাশী ব্যবস্থা নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন। ১৭ শতাংশ খারাপ রাস্তা নিয়ে সরব হয়েছেন। পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়েছেন ১০ শতাংশ মানুষ। ১৩ শতাংশ মানুষ কর্ম সংস্থানের দাবি জানিয়েছেন। 


ভরসা মোদীতে 


তবে সমীক্ষা রিপোর্টে  বলা হয়েছে রাজ্যের৪৫ শতাংশ মানুষই  নরেন্দ্র মোদীর ওপর আস্থা রেখেছেন। তাঁদের কাছে ডিএমকে কংগ্রেস জোটের থেকে বিজেপির শাসন আশাজনক বলেও দাবি করা হয়েছে। তবে এই বিষয়টির সঙ্গে সহমত পোষণ করেননি ৩৭ শতাংশ মানুষ। তবে সমীক্ষায় ৪২ শতাংশ মানুষের কাছে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যেখানে ২২ শতাংশ মানুষের কাছে আদর্শই শেষ কথা। ১৫ শতাংশ মানুষই বিধয়ক দেখে ভোট দেবেন বলেও স্থির করেছেন। মাত্র ৪ শতাংশ মানুষই জানিয়েছে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েই তাঁরা ঠিক করছেন ইভিএম-এর কোন বোতামটি টিপবেন। এই রাজ্যে ভোট গ্রহণ হবে আগামী ৬ এপ্রিল। ফল প্রকাশ ২ মে। এই রাজ্যে যদি বিজেপি ক্ষমতায় আশে তাহলে তা হবে শূন্য থেকে শুরু করার মতই। কারণ এই রাজ্যে গত বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনে জেতেনি গেরুয়া শিবির।