সংক্ষিপ্ত

  • সহজেই জয় পেলেন অখিল গগৈ 
  • সিএএ বিরোধী আন্দোলনের মুখ ছিলেন 
  • বিজেপি প্রার্থীকে হারিয়েছেন ১১ হাজারের বেশি ভোটে 
  • জেলে বসেই ভোটারদের মন কাড়লেন তিনি 
     

জেলে বসেই বাজিমাৎ। না ব়্যালি, না জনসভা, না বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার। অসম রাজনীতিতে রীতিমত কামাল করে দেখালেন  সিএএ বিরোধী আন্দোলনের নেতা ৪৫ বছরের অখিল গগৈ। শিবসাগর আসন থেকে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সুরভী রাজকনওয়ারিকে ১১ হাজার ৮৭৫ ভোটে  পরাজিত করেছেন। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অখিল গগৈকে গ্রেফতার করা হয়েছি। রাইজোর দলের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জেলে বসেরি ৫৭ হাজারের বেশি ভোট পেয়েছেন তিনি। শতাংশের হিসেবে যা ৪৬ শতাংশের বেশি। চলতি বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস রাইজোর দলকে সমর্থন করেছিল। 

জেলবন্দি প্রার্থী ভোট প্রচারের জন্য কোনও রকম প্রচার করার সুযোগ পাননি। আর সেই কারণেই তিনি জেলে বলে একাধিক খোলা চিঠিকেই প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করেছেন। জেলে বসেই একাধিক চিঠি লিখেছিলেন তাঁর ভোটারদের উদ্দেশ্যে। যদিও তাঁর ৮৫ বছরের বৃদ্ধ মা সর্বদা ছিলেন ছেলের পাশে। শিবসারের অলিগলিতে তিনি প্রচার করেগিয়েছিলেন জেল বন্দি ছেলের সমর্থনে। আর অখিলের মা প্রায়দা সমর্থনে ভোট প্রচারে মেধা পাটেকর ও সন্দীপ পান্ডের মত বিশিষ্টরাও হাজির হয়েছিলেন। নেতাকে জেতাতে প্রাণপাত করেছিলেন রাইজোর দলের কর্মী ও সমর্থকরা। শিবসাগর কেন্দ্র জয়ের জন্য পুরোপুরি ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। স্মৃতি ইরানিও  তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারে সামিল হয়েছিলেন। 

গুয়াহাটির কটন কলেজের স্নাতন ৪৫ বছরের অখিল গগৈ। ১৯৯৫-৯৫ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পরবর্তীকালে দুর্ণীতিবিরোধী কর্মী হিসেবে নিজেকে তুলে ধরেন। কৃষক মুক্তি সংহগ্রাম সমিতিরও নেতৃত্ব দেন। আদিবাসীদের ভূমির অধিকারের জন্য লড়াই করেছিলেন। পরিবেশ আন্দোলনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন অখিল। তৎকালীন অসমের বিজেপি সরকার তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১২টি মামলা করেছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের জন্য জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে। রাজনৈতিক বিশ্লেষক আতিকুর রহমান বারবুইয়া বলেন অখিল গগৈয়ের জয় ইতিহাস তৈরি হয়েছে। জেল বন্দি হয়ে এর আগে ১৯৭৭ সালে ভোটে জিতেছিলেন জর্জ ফার্নান্দেস। আদিবাসীদের সমর্থন আর সহানুভি জয় এনে দিয়েছেন গগৈকে। ভোটাররাই তাঁর মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।