সংক্ষিপ্ত


হরিয়ানার ফল বের হতেই মাথায় হাত বিজেপির। সমানে সমানে টক্কর চলছে বিজেপি-কংগ্রেসের। ফল নিয়ে আলোচনার জন্য খট্টরকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হল। আর জেজেপির সঙ্গে দর কষাকষির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অকালি দলের দুই নেতাকে।

যত সময় যাচ্ছে ততই হরিয়ানার ফল নিয়ে মুখ শুকিয়ে যাচ্ছে বিজেপির। এই রাজ্য়ে একেবারে সমানে সমানে টক্কর চলছে বিজেপি-কংগ্রেসের। বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত  রাজ্য়ের ৯০টি আসনের মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি, আর ৩২টিতে কংগ্রেস। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে কিং মেকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে চলেছে জননায়ক জনতা পার্টি। তারা এগিয়ে ১১টি আসনে।

হরিয়ানায় বিজেপির লক্ষ্য ছিল ৭৫ আসনে জয়। শেষ পর্যন্ত সংখ্যায় কিছু অদলবদল ঘটলেও লক্ষ্যের যে ধারেকাছে পৌঁছনো যাচ্ছে না, তা এখনই স্পষ্ট। এরপরই রাদজ্য়এর নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা তথা হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব। এদিন বিকেলেই তিনি দিল্লি যাবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

অন্যদিকে এককভাবে সরকার গড়তে না পারলেও যেন তেন প্রকারে ক্ষমতা ধরে রাখার লক্ষ্য়ে জেজেপি-র সঙ্গে জোট গঠনের প্রস্তুতি শুরু করেছে বিজেপি। এর জন্য তারা নির্ভর করছে তাদের শরিক দল শিরোমনি অকালি দলের উপর। অকালি দলের দুই বিশিষ্ট নেতা প্রকাশ সিং বাদল ও সুখবীর সিং বাদল-কে জেজেপি নেতা দুশ্যন্ত চৌটালার কাছে পাঠানো হচ্ছে।

তবে দুশ্যন্ত চৌটালা নিজে আভাস দিয়েছেন বিজেপির পক্ষে নয়, তিনি কংগ্রেস শিবিরেই যোগ দিতে চান। তিনি সংবাদমাধ্যমের সামনে বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, 'বিজেপি ৭৫ আসনের লক্ষ্যে ব্যর্থ হয়েছে, এবার যমুনা পার হয় কিনা তা দেখতে হবে।'  জানা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই তিনি কংগ্রেসের কাছে মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবি জানিয়েছেন। তবে সেই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এড়িয়ে দিয়ে জবাব দিয়েছেন, কারোর সঙ্গে তাঁর কথা হয়নি, চুড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা হলে তবেই তিনি বিবিন্ন দলের সঙ্গে আলাপ আলোচনা শুরু করবেন।