সংক্ষিপ্ত
- কর্নাটক উপনির্বাচনে বড় জয় পেল বিজেপি
- বাকি চার বছরের জন্য সরকারে জায়গা পাকা করল তারা
- অন্যদিকে প্রায় হারিয়েই গেল কংগ্রেস-জেডিএস
- দায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন দুই বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা
কর্নাটকের ১৫টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনের ভোট গণনা শেষ হল। এই উপনির্বাচন ছিল ইয়েদুরাপ্পার অ্যাসিড টেস্ট। অন্তত ৬টি আসন না জিতলে পড়ে যেত বিজেপি সরকার। তার দ্বিগুণ আসনে জিতে বাকি চার বছরের জন্য কন্নড়ভূমের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে নিজের জায়গা পাকা করলেন বিএস ইয়েদুরাপ্পা। অন্যদিকে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে সরে গেলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া।
ফল গণনার শেষে, ১৫ আসনের মধ্যে বিজেপির দখলে গেল ১২টি আসন। আর কংগ্রেসের জুটল মোটে ২টি। বাকি ১টি আসনে জয় পেলেন দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটে লড়া বিজেপি সাংসদ বি এন বাচেগৌড়ার পুত্র শরৎ বাচেগৌড়া। তাঁকে বিজেপি ফলে ২২৪ আসনের মধ্যে বিজেপির মোট বিধায়কের সংখ্যা দাঁড়ালো ১১৭। কংগ্রেসের ৬৮ এবং জেডিএস-এর ৩৪টি। এছাড়া নির্দল বিধায়ক রয়েছেন তিনজন। এছাড়া দুটি আসনে নির্বাচন হওয়া বাকি রয়েছে।
এই ফলাফলে স্বাভাবিকভাবেই দারুণ খুশি বিজেপি। ফল সম্পূর্ণ প্রকাশের আগে থেকেই বিজেপি নেতা-কর্মীরা উৎসব শুরু করে দেন। ইয়েদুরাপ্পার সঙ্গে দেখা করে তাঁকে মিস্টিমুখ করান, বিজেপি নেতা তথা ইয়েদুরাপ্পার পুত্র বিজয়েন্দ্র। রাস্তায় বিশাল বিশাল বিজেপির পতাকা নিয়ে বিজেপি কর্মীরা বিজয়-মিছিল করেন।
অন্যদিকে এদিনের শোচনীয় ফলের দায় নিয়ে বিরোধী দলনেতার পদ থেকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিদ্দারামাইয়া। দীনেশ গুন্ডু রাও-ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। দুজনেই কংগ্রেসের ভারপ্রাপ্ত সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁদের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন। সিদ্দারামাইয়া জানান, জনাদেশ মেনে দলের স্বার্থেই তাঁরা পদত্যাগ করছেন। দলের হারের নৈতিক দায় তাঁদেরই।