সংক্ষিপ্ত

  • সোমবার বিকাল ৬টায় শেষ হল হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের ভোটগ্রহণ পর্ব
  • মহারাষ্ট্রে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত মোট ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে
  • হরিয়ানায় ভোট পড়েছে ৬৫ শতাংশ
  • বুথ ফেরত সমীক্ষা একযোগে দুই রাজ্যেই বিজেপির বড় জয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে

 

সোমবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৬টায় শেষ হল হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রের বিধানসভা ভোটের ভোটগ্রহণ পর্ব। মহারাষ্ট্রে গত পাঁচট বছরের ভোটদানের হারের বিশেষ পরিবর্তন ঘটেনি। এদিন সন্ধ্যা ৬টায় ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর্যন্ত এই রাজ্যে মোট ৬৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। ২০১৪ সালের ভোট পড়েছিল ৬৩.৩৮ শতাংশ। আর অপর রাজ্য হরিয়ানায় এদিন ভোট পড়েছে মহারাষ্ট্রের থেকে একটু বেশি, ৬৫ শতাংশ। ২০১৪ সালে কিন্তু এই রাজ্যে রেকর্ড ৭৬.৫৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এইবার তার তুলনায় ভোটদানের হার অনেকটাই কমেছে।

ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ হতেই বিভিন্ন সংস্থার তরফে বুথ ফেরত সমীক্ষার ধূম পড়ে গিয়েছে। ভোটের আগে জনমত সমীক্ষাতে দুই রাজ্যেই বিজেপির সরকার ধরে রাখার পূর্বাভাস পাওয়া গিয়েছিল। বুথ ফেরত সমীক্ষায় দুই রাজ্যেই একেবারে গেরুয়া সুনামি ওঠার আভাস মিলেছে।   

মহারাষ্ট্রে, টাইমস নাও, এবিপি/ সি ভোটার, জন কি বাত, নিউজ ১৮/ ইপসোস, টিভি৯ মারাঠি, ইন্ডিয়া টুডে/ মাই অ্যাক্সিস বুথ ফেরত সমীক্ষা চালিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে অধিকাংশ সংস্থারই সমীক্ষার ফল বলছে মহারাষ্ট্রে চাইলে এককভাবেই সরকার গড়তে পারবে বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে ১২২টি আসন জিতেছিল বিজেপি। এবার নিশ্চিতভাবেই তাদের আসন সংখ্যা অনেকটাই বাড়তে চলেছে। একইভাবে গতবার ৬৩ আসনে আটকে যাওয়া শিবসেনা এইবার ১০০ আসনের গন্ডি পার করবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই জোটের ঝুলিতে ১৮১ থেকে ২৩০টি আসন আসতে পারে।

অপরদিকে কমগ্রেসের রক্তক্ষরণ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। গতবারের ৪২টি আসন থেকে কমে তারা ১৭-১৮ আসনে নেমে যেতে পারে। সঙ্গী এনসিপির অবস্থাও তথৈবচ। সব মিলিয়ে এই জোট ৪৮ থেকে ৮১টি আসন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে হরিয়ানায় এইবার বিজেপি কর্মীদের আসন সংখ্যা ৪৭ থেকে বাড়িয়ে ৭৫-এ নিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মনোরলাল খট্টর। নিশ্চিন্তেই সেই লক্ষ্য পূরণ হতে পারে বলে আভাস মিলেছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়। টাইমস নাও, জন কি বাত, নিউজ ১৮/ ইপসোস, নিউজএক্স/ পোলস্ট্র্যাট ও টিভি৯ ভারতবর্ষ-এর বুথ ফেরত সমীক্ষার মধ্যে নিউজ ১৮/ ইপসোস, ও নিউজএক্স/ পোলস্ট্র্যাট বিজেপি ৭৫টির বেশি আসন পেতে পারে বলে জানিয়েছে। অপরদিকে কংগ্রেসের রক্তক্ষরণ এই রাজ্যেও অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। বুথ ফেরত সমীক্ষার অধিকাংশই তাদের ঝুলিতে ১০ থেকে ১১টি আসনের বেশি দিতে পারেনি। গত বছরের ১৫টি আসন ধরে রাখাও তাদের পক্ষে কঠিন হতে পারে। অপর পক্ষ ভারতের রাষ্ট্রীয় লোকদল ২০১৪ সালে ১৯টি আসন পেয়েছিল। এইবার তারা ধুয়ে মুছে যেতে পারে বলে আভাস মিলেছে। ওমপ্রকাশ চৌটালার বদলে তাঁর ত্যায্য পুত্রের জেজেপি দল ভাল ফল করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।    

বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল কখনও মেলে, কখনও মেলে না ঠিকই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই সমীক্ষার সঙ্গে আসল ফলের বেশ মিল পাওয়া যায়। অন্তত রাজ্যে ক্ষমতা থাকবে কাদের হাতে তার স্পষ্ট ইঙ্গিত পাওয়া যায়। তবে শেষ কথা বলবে ২৪ অক্টোবরের ফলাফলই।