সংক্ষিপ্ত
- নোট বাতিলের পিছনে মোদী সরকারের অন্যতম যুক্তি ছিল জাল নোটের কারবার বন্ধ হবে
- সরকারি তথ্য বলছে নোট বাতিলের এক বছরের মধ্য়েই প্রায় দ্বিগুণ হয়েছি জাল নোটের পরিমাণ
- সবচেয়ে বেশি জাল নোট মিলেছিল গুজরাত থেকে
- আর এর বেশিরভাগই ছিল নতুন ২০০০ টাকা
২০১৬ সালে নোট বাতিলের পিছনে মোদী সরকারের অন্যতম যুক্তি ছিল, এতে করে জাল নোটের কারবার ধাক্কা খাবে। সেই নোট বাতিলের জেরে নিজেদের অর্জিত অর্থ তোলার জন্যই ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়াতে হয়েছিল ভারতীয়দের। দেশ জুড়ে ১০০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই দেখা যাচ্ছে নোট বাতিলের যুক্তিগুলি মুখ থুবড়ে পড়েছে।
সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের জানিয়েছিল বাজার জাল ২০০০ টাকার নোটে ছেয়ে যাওয়ায় এই বছর এখনও পর্যন্ত ২০০০ টাকার নোট ছাপাই বন্ধ রাখা হয়েছে। এইবার ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর এক তথ্যে জানা গেল ২০১৭ সালেই ভারতের বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার হাতে মোট ২৮.১ কোটি টাকার জাল নোট ধরা পড়েছিল। গত কয়েক বছরে বিবিন্ন ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ফলে যে পরিমাণ টাকা নয়ছয় হয়েছে, তার তুলনায় এই পরিমাণটা খুবই অল্প বলে মনে হতে পারে। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে নোট বাতিলের সময় সরকারি হিসেবে বাজারে জাল নোটের পরিমাণ ছিল ১৫.৯ কোটি টাকার।
অর্থাৎ, নোট বাতিলের পরের বছরই জাল নোটের পরিমাণ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছিল। নোট বাতিলের পর রীতিমতো হুড়মুড়িয়ে বেড়েছে জাল নোটের পরিমাণ। আর এই পরিমাণ উদ্ধার করা নোটের বেশিরভাগটাই ছিল নতুন চালু হওয়া ২০০০ টাকার নোটই। প্রায় ১৪.৯৮ টাকা জাল নোট ছিল ২০০০ টাকার নোটে।
কিন্তু কোন রাজ্য থেকে এই জাল নোট উদ্ধারের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি ছিল? এখানেও মিলেছে বিস্ময়কর তথ্য। সবার আগে আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ-এর রাজ্য গুজরাতই। শুদুমাত্র এই রাজ্য থেকেই ৯ কোটি টাকারও বেশি জাল নোট উদ্ধার হয়েছিল ২০১৭ সালে। তারপরেই ছিল দিল্লি, সেখান থেকে উদ্ধার হওয়া জাল নোটের পরিমাণ ৬.৭ কোটি। আর তারপর রয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ, ২.৮ কোটি টাকা।