সংক্ষিপ্ত
- গোপাল কান্দার সহায়তা নিয়ে হরিয়ানায় সরকার গঠন করছে বিজেপি
- এই নিয়ে তীব্র আপত্তি জানালেন সহ সভাপতি উমা ভারতী
- গোপাল কান্দা নারী নির্যাতনে অভিযুক্ত
- দলের নৈতিক পতন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উমা
তিনি দলের সহ সভাপতি। তবে ইদানিং দলীয় কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। এক সময়ের দাপুটে নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী প্রশ্ন তুলে দিলেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত
তিনি দলের সহ সভাপতি। তবে ইদানিং দলীয় কোনও অনুষ্ঠানেই তাঁকে বিশেষ দেখা যায় না। এক সময়ের দাপুটে নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উমা ভারতী প্রশ্ন তুলে দিলেন আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলায় অভিযুক্ত গোপাল কান্দার সহায়তা নিয়ে হরিয়ানায় বিজেপির সরকার গঠন করা নিয়ে।
হরিয়ানায় বিজেপির জুলিতে ৪০ টি আসন এসেছে। সরকার গঠনের জন্য আরও ৬টি আসন দরকার ছিল। গোপাল কান্দার সমর্থন ছাড়াও আরও ৭জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে বিজেপি সরকার গড়তে চলেছে। এই খবর পাওয়ার পরই এদিন উমা ভারতী পর পর বেশ কয়েকটি টুইট করে বিজেপি-কে কান্দার সমর্থন নিতে বারণ করেন। জানান, ভোটে জেতা মানেই কান্দার সব অপরাধ ধুয়ে যায়নি।
বিজেপি সহসভাপতি বলেচেন হরিয়ানায় বিজেপি-র অবশ্যই সরকার গঠন করা উচিত। কিন্তু দলের নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে নয়। বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বিজেপির ভাবমূর্তিতে কোনও কলঙ্কের দাগ নেই। বিজেপির সহযোগীদেরও ভাবমূর্তি সেইরকমই হওয়া উচিত।
নরেন্দ্র মোদীর শক্তির কথাও উল্লেখ করেছেনব উমা। তিনি বলেছেন বিজেপির কাছে নরেন্দ্র মোদীর মতো এক শক্তি রয়েছে। জাতীয়তাবাদের শক্তিই নরেন্দ্র মোদীর শক্তি। বিজেপির সেই শক্তির উপরই ভরসা রাখা উচিত।
উমা ভারতী এই টুইট করতেই তাকে লুফে নিয়েছেন কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা বেদ। গোপাল কান্দা, যার বিরুদ্ধে একজন মহিলাকে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে, তার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে যখন, তখন স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারমণদের মতো বিজেপি নেত্রীরা কোথায় সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। তাঁর আরও প্রশ্ন ক্ষমতার জন্য কি বিজেপি বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও নীতিও বিসর্জন দিচ্ছে?
তবে শুধু তিনিই নন, গোপাল কান্দার সমর্থন নেওয়ার জন্য বিজেপি-কে কাঠগড়ায় তুলছেন একের পর এক কংগ্রেস নেতা। রণদীপ সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন কান্দাকে তাঁরা দল থেকে বহিষ্কার করেছিলেন। সেই সময় কান্দার বিরুদ্ধে অমিত শাহ অনেক বড় বড় কথাই বলেছিলেন। এখন সেই কান্দাই বিজেপির ভরসা হয়ে উঠেছেন। এর থেকেই ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির লোভ কত তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।