সংক্ষিপ্ত
- প্রাচীনকালের লোকগাঁথায় বর্ণিত রয়েছে বাবা লোকনাথের জীবনের নানা কথা
- আজ বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস
- জেনে নিন কী করলে বা কীভাবে বাবার পুজো করলে বাবা লোকনাথের কৃপা দৃষ্টি লাভ করবেন
প্রাচীনকালের লোকগাঁথায় বর্ণিত রয়েছে বাবা লোকনাথের জীবনের নানা কথা। প্রচলিত লোকগাঁথা থেকেই জানা যায় যে, বাবা লোকনাথ ছিলেন মহাদেবের একনিষ্ঠ ভক্ত। শুধু তাই নয়,বাবা লোকনাথকে মহাদেবরই আর এক রূপ বলে মনে করা হয়। আজ বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবস। কী করলে বা কীভাবে বাবার পুজো করলে বাবা লোকনাথের কৃপা দৃষ্টি লাভ করবেন জেনে নিন।
বাবা লোকনাথ তাঁর ভক্তদের নির্দেশ দিয়ে গিয়েছেন যে, তাঁর পুজোর কোনও তিথি নক্ষত্র নেই। তাঁর পুজোর জন্য কোনও আয়োজন বা আড়ম্বড়ের প্রয়োজন নেই। যেকোনও সময়া তাঁকে মন-প্রাণ দিয়ে ডাকলেই তিনি ভক্তের ডাকে সাড়া দেন। বাবা উপদেশ দিয়েছিলেন, সকল সৎ এবং পরোপকারী ভালো মানুষের মধ্যেই তাঁর বাস। বাবা লোকনাথ যেহেতু শিব-ভক্ত ছিলেন, তাই তাঁর পুজোও মহাদেবের মতো সোমবার দিনই করা হয়। তাই সকলের উচিৎ সোমবারদিন করেই লোকনাথ পুজো করা।
লোকনাথ বাবার প্রধান প্রসাদ হল মিছরি ও মাখন। তিনি বলতেন, সব মানুষেরই উচিৎ মিছরির মতো হওয়া। মিছরি যেমন বাইরে থেকে পাথরের মত কঠিন আর সেটি খেলে তার স্বাদ হয় মিষ্টি, তেমনই তিনি তাঁর ভক্তকে উপদেশ দেন বাইরে থেকে কঠিন হয়ে ভিতর থেকে মিষ্টি স্বভাবের হতে। তিনি অত্যন্ত অল্পেই সন্তুষ্ট। তাঁর পুজোয় কেবল ফুল, ধূপ, চন্দন এবং প্রসাদে অবশ্যই অমৃতি ও মিছরি রাখতে হবে৷ বাবা লোকনাথ অমৃতি ও মিছরি খুব ভালবাসেন ৷
তিনি আরও বলেন যে, সব মানুষই হল ঈশ্বরের সন্তান, সব মানুষকে সমানভাবে ভালোবাসা উচিত। তাছাড়া সব সময় সততার সঙ্গে জীবন কাটানোর পরামর্শও দিতেন তিনি।বাবা লোকনাথের বিখ্যাত বাণী আজও সকলের মুখে মুখে প্রচলিত, তা হল, 'রণে, বনে, জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে আমাকে স্মরণ করিও আমিই রক্ষা করিব।' সামান্য আয়োজন করে শুধুমাত্র মন দিয়ে বাবাকে ডাকলেই ভাল ফল পাওয়া যাবে।