সংক্ষিপ্ত
- এই বছর শ্রাবণ মাসে দুবার শনি প্রদোষের যোগ রয়েছে
- এই ঘটনা ১০ বছর আগে ঘটেছিল
- ১৮ জুলাই শনিবার এবং ১ আগস্ট শনিবার পড়েছে
- আবার ২০২৭ সালে গঠিত হবে এই যোগ
এই বছর শ্রাবণ মাসে দুবার শনি প্রদোষের যোগ রয়েছে। এই ঘটনা ১০ বছর আগে ঘটেছিল। এই মাসে শনি প্রদোষের এই বিশেষ যোগ শনির দোষ থেকে মুক্তি পেতে বিশেষ ভাবে সাহায্য করে। এই দুটি যোগ এই বছরে পড়েছে ১৮ জুলাই শনিবার এবং ১ আগস্ট শনিবার। এর আগে শনি প্রদোষের এমন যোগ শ্রাবণ মাসে ২১ আগস্ট ২০১০ সালে হয়েছিল। এখন ১০ বছর পরে এই যোগ সৃষ্ট হয়েছে। এরপরে এই যোগ আবার শ্রাবণ মাসে ৩১ জুলাই এবং ১৪ আগস্ট ২০২৭ সালে গঠিত হবে।
শ্রাবণ মাসে শিব এবং শনি পুজো
যখন শনির প্রদোষ তিথি শ্রাবণ মাসে দুবার শনিবারেই গঠিত হয়। এই যোগে করা পুজো শনির অশুভ প্রভাব বা দোষ থেকে মুক্তি দেয়। যারা শনি মহাদশা, সাড়ে সাতি দ্বারা সমস্যায় পড়েছেন তাদের জন্য ১৮ জুলাই এবং ১ আগস্ট শনি প্রদোষের দিনটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। প্রদোষের ত্রয়োদশ তিথি অর্থাৎ শুক্ল এবং কৃষ্ণপক্ষের শুক্লা এবং কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশ তিথিকে প্রদোষ বলা হয়। শিব পুরাণ অনুসারে, এই তিথি শিবের প্রিয় হওয়ার কারণে প্রদোষে শিব উপাসনার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। ভগবান শিব শনি দেবের গুরু। তাই শ্রাবণ মাসে শনিবার শিবের উপাসনা শনি দোষের ফলে সৃষ্ট ঝামেলা থেকে মুক্তি দেয়।
দুঃস্থকে কাপড়, শস্য দান-
শনির মহাদশা কাটাতে দুঃস্থদের সাধ্য মত দান করুন। এই দুই প্রদোষ তিথিতে উপবাস করুন। শনি প্রদোষের দিন উপাসনা ও দান করলে সুখ ও সৌভাগ্য বৃদ্ধি হয়। শারীরিক সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারবেন। আয়ু বৃদ্ধি হয়, সম্পত্তি ও অর্থেরও সমস্য়ায়ও উপকার হয়। শনি প্রদোষের দিনে, দরিদ্র লোকদের জন্য পোশাক এবং খাদ্যশস্য দান পাপ সমাপ্ত করে। জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে, এই দিনে রুদ্রভূষেক ও শনি দেবের পুজো করার পরে রূপোর সাপের পুজো করতে হবে। তারপরে এগুলি পবিত্র নদীতে প্রবাহিত করা উচিত। এই তিথিতে শিবের আরাধণা পিতৃদোষের সমস্যাও নির্মূল করে। এই পুজোয় শনিদেবকে কালো তিল দিয়ে অভিষেক করলেও সব ধরণের সমস্যা থেকে মুক্তি লাভ সম্ভব।