সংক্ষিপ্ত
- দোলযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় উৎসব
- এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব
- এই পূর্ণিমা তিথি অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়
- নিষ্ঠাভরে পূর্ণিমার ব্রত পালন করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি পাওয়া সম্ভব হয়
দোলযাত্রা হিন্দু সম্প্রদায়ের এক ধর্মীয় উৎসব। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসব। ফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। দোল পূর্ণিমা প্রধানত বাংলা এবং উড়িষ্যার প্রধান ধার্মিক উৎসব যা প্রতি বছর পালিত হয়। দোল উৎসবে ভগবান শ্রী কৃষ্ণ বৃন্দাবনে গোপীদের সঙ্গে আবির খেলায় মেতে উঠেছিলেন। এই দিনে অনেক বাড়িতেই রাধা-গোবিন্দের পুজোও করা হয়। এই পূর্ণিমা তিথি তাই অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।
আরও পড়ুন- দোল উৎসবের পবিত্র এই তিথি কতটা প্রভাব ফেলবে, দেখে নিন রাশি অনুযায়ী
আরও পড়ুন- সোমবারের সারাদিন কেমন কাটবে আপনার, দেখে নিন আজকের রাশিফল
এই কারণেই দোল পূর্ণিমা বা ফাল্গুনি পূর্ণিমা অত্যন্ত শুভ তিথি বলে মনে করা হয়। দোল পূর্ণিমা তিথির শুরু রবিবার রাত্রি ২টো ৩ মিনিটে, পূর্ণিমা উপবাস পালন। দোল পূর্ণিমা তিথি শেষ বাংলার ২৬ ফাল্গুন ১৪২৬, ইংরেজির ১০ মার্চ ২০২০ মঙ্গলবার। তাই পূর্ণিমার এই তিথিতে বিশেষ কিছু নিয়ম পালনের মাধ্যমে কাটিয়ে উঠতে পারে সকল বাধা ও বিপত্তি। শাস্ত্র মতে মনে করা হয় ফাল্গুন মাসের এই পূর্ণিমা তিথিতে নিষ্ঠাভরে পূর্ণিমার ব্রত পালন করলে সহজেই ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি পাওয়া সম্ভব হয়। এর ফলে সংসারের যাবতীয় বাধা ও বিপত্তি দূর হয়। আর্থিক সমস্যা কাটিয়ে ওঠাও সম্ভব। এই কারণেই বসন্তের এই বিশেষ তিথিতে বহু হিন্দু সম্প্রদায় বাড়িতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে থাকেন আর্থিক উন্নতির জন্য। তবে এই পূর্ণিমার রীতি পালনের জন্য কয়েকটি বিশেষ নিয়ম করলে সহজেই বাধা বিপত্তি থেকে মুক্তি পাবেন। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি।
আরও পড়ুন- কেমন কাটবে এই সপ্তাহ, দেখে নিন সপ্তাহের রাশিফল
১) মনে করা হয় ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিন শ্রীকৃষ্ণ ও রাধার মিলনের দিন। এই দিনের ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাধা ও গোপীদের সঙ্গে অভিসারে মত্ত হয়েছিলেন। তাই এই দিনে রাধাগোবিন্দের পুজো করলে সকল মনঃষ্কামনা পূরণ হয়। ব্রহ্মাবৈবর্ত পূরাণ অনুসারে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে মন ভরে স্মরণ করলে ভক্তের ডাকে তিনি সারা দেন। তাই এই তিথি বিশেষ শুভ বলে মনে করা হয়।
২) বিশেষ এই তিথিতে তাই রাধা গোবিন্দের আরাধনা করলে ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি সংসারের উপর বজায় থাকে বলে মনে করা হয়।
৩) ফাল্গুন মাসের বিশেষ এই তিথিতে যদি কোনও দুঃস্থ ব্যক্তিকে কিছু দান করেন তবে শুভ ফললাভের সম্ভাবনা থাকে বলে মনে করা হয়।
৪) বাড়িতে পুজোর আয়োজন করে সন্ধ্যায় তুলসী মঞ্চে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালিয়ে আরতি করুন। ইষ্টদেবতার উদ্দেশ্যে সিন্নি প্রদান করুন। সকল বাধা কাটিয়ে আর্থিক উন্নতি ফিরে আসবে আপনার সংসারে।
৫) এই দিনে স্নান সেরে দেবতার চরণে আবির প্রদাণ করুন। মনের সকল ইচ্ছের কথা জানিয়ে ইষ্ট দেবতাকে স্মরণ করুন, সংসারের যাবতীয় বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।