সংক্ষিপ্ত
- বাংলার ১২ মাসের মধ্যে কার্তিক মাস বিষ্ণু ও শিব ভক্তদের অনুকূল বলে মনে করা হয়
- ঠিক এই কারনেই বিষ্ণু ও শিবের মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়ে থাকে
- কার্তিক মাসে, কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের বহু ভক্ত কার্তিক সোমবার ব্রত পালন করে থাকেন
- এই মাসে পূর্ণিমাতে কার্তিক নক্ষত্রটি চাঁদের সহচার্য্যে থাকে বলে এই মাসের নাম কার্তিক
এই মাসে পূর্ণিমাতে কার্তিক নক্ষত্রটি চাঁদের সহচার্য্যে থাকে বলে এই মাসের নাম কার্তিক। এদিকে শিবের পুত্রের নামও কার্তিক। বাংলার ১২ মাসের মধ্যে কার্তিক মাস বিষ্ণু ও শিব ভক্তদের অনুকূল বলে মনে করা হয়। ঠিক এই কারনেই বিষ্ণু ও শিবের মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তদের সমাগম হয়ে থাকে। কার্তিক মাসে, কর্ণাটক ও অন্ধ্র প্রদেশের বহু ভক্ত কার্তিক সোমবার ব্রত পালন করে থাকেন। তাই মনে করা হয় এই মাসে নিষ্ঠা সহকারে কয়েকটি নিয়ম পালন করে দেবাদিদেব মহাদেব ও দেবী দুর্গা তুষ্ট হন সহজেই। তাই পুরও কার্তিক মাস জুড়ে মেনে চলুন এই সাধারণ নিয়মগুলি তাহলেই ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকবে আপনার উপর। জেনে নেওয়া যাক সেই নিয়মগুলি-
আরও পড়ুন- আপনার জন্ম কি কার্তিক মাসে, তবে আপনার মধ্যে এই রয়েছে এই বিশেষ গুণগুলি
১) এই মাসে ঘর-বাড়ি নোংরা করে রাখবেন না। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন বাড়ির চারিপাশ। বাড়ির প্রধান দরজার সামনে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই ঘর থেকে কেউ বাইরে বেরনোর আগে দরজার সামনের অংশ জল দিয়ে ধুয়ে দিন।
২) কার্তিক মাসের শুরুর প্রথম দিন থেকেই সন্ধ্য়াবেলা পূর্ব পুরুষের উদ্দেশ্যে প্রদীপ জ্বালান। পুরও মাস এই নিয়ম পালন করুন প্রতিদিন সন্ধ্যে বেলা। জীবনের সকল বাধা কেটে যাবে।
৩) এই মাসে কোনও দুঃস্থ ব্যক্তি সাহায্য চাইলে তাকে ফেরাবেন না, সাধ্যমত দান করুন। তবে দান মানেই তা সব সময় আর্থিক দান হতে হবে তা নয়। আপনার যেমন সাধ্য সেই মতই দান করুন।
৪) দেবীপক্ষে উৎসবের দিনে সাধ্য মত বাড়িতে যে কোনও ধাতু কিনে আনুন। সোনার গহনাই কিনতে হবে তার কোনও মানে নেই। তবে যে কোনও একটি ধাতু কিনে আনুন, এতে সংসারের শ্রীবৃদ্ধি ঘটে।
৫) দেবীপক্ষ চলাকালীন সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে আগে ঠাকুরের পুজো সেরে তবে ঘরের কাজে হাত দিন। এর ফলে সংসারের দুর্দশা কেটে যাবে।
পুরো কার্তিক মাস জুড়ে এই কয়েকটি নিয়ম পালন করলেই ঈশ্বরের কৃপাদৃষ্টি বজায় থাকবে আপনার উপর। জীবনের সমস্ত বাধা কাটিয়ে উঠতে পারবেন সহজেই।