সংক্ষিপ্ত
- বৈশাখ বাংলার বছরের প্রথম মাস
- এই মাস গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা দেয়
- রাশিচক্রের দ্বাদশতম রাশি মীন
- বৈশাখ মাস মীন রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে
গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জির এপ্রিল মাসের শেষার্ধ ও মে মাসের প্রথমার্ধ নিয়ে বৈশাখ মাস। বৈদিক পঞ্জিকায় এই মাসকে মাধব মাস এবং বৈষ্ণব পঞ্জিকায় একে মধুসূদন মাস বলে। "বৈশাখ" শব্দটি এসেছে বিশাখা নামক নক্ষত্রের নাম থেকে। এই মাসে বিশাখা নক্ষত্রটিকে সূর্যের কাছে দেখা যায়। প্রথাগত দিক থেকে বৈশাখ মাস থেকে গ্রীষ্ম ঋতুর শুরু ধরা হয়। পাশাপাশি রাশিচক্রের দ্বাদশতম রাশি মীন। এই রাশির অধিকর্তা গ্রহ বৃহস্পতি। এই রাশির জাতক-জাতিকারা উদার পরোপকারী ও সৎ প্রকৃতির। এদের মানসিক অস্থিরতা মাঝে মাঝেই এদের লক্ষ্যের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। প্রেমের জীবন সুখের না হলেও বৈবাহিক জীবন এদের অত্যন্ত সুখের। এরা অন্যায়ের সঙ্গে একেবারেই আপোস করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে গিয়ে বহুবার বিপদে পড়েছে। এদের জীবনের প্রধাণ লক্ষ্য প্রচুর অর্থ উপার্জন করা। এরা সাধারণত নম্র ও ধার্মিক প্রকৃতির হয়ে থাকে। তবে জেনে নেওয়া যাক বৈশাখ মাস মীন রাশির উপর কেমন প্রভাব ফেলবে-
আরও পড়ুন- কুম্ভ রাশির ঋণ শোধ নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে, দেখে নিন আপনার রাশিফল
ব্যবাসয় লাভের পরিমান বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। এই মাসে প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিতে পারে। শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে, ফলে চিকিৎসার জন্য ব্যয় বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। সন্তানের পড়াশুনা নিয়ে চিন্তা বৃদ্ধি পেতে পারে। কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির সঙ্গে সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। বিদ্যার্থীদের জন্য খুব শুভ মাস। এই মাসে উদারতার জন্য ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রতিযোগীতামূলক বিষয়ে সাফল্যের যোগ রয়েছে। প্রেমের বিষয়ে ব্যকুলতা বৃদ্ধি পেতে পারে। ব্যবসার প্রয়োজনে যাত্রার যোগ রয়েছে, পাশাপাশি ব্যবসার উন্নতির যোগও রয়েছে। কোনও মহিলার প্রতি অনুরাগ বৃদ্ধি পেতে পারে। আয় ভালো হলেও ব্যয়ের পরিমান বৃদ্ধির যোগ রয়েছে। এই মাসে অপরের প্রতি বিরোধী মনোভাব বৃদ্ধি পেতে পারে।
আরও পড়ুন- কবে ঘুরতে আপনার ভাগ্যের চাকা, নিজেই দেখুন নিজের ভাগ্য
জাতকের জন্মসময়, তারিখ এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে, জন্মকালে মহাকাশে গ্রহের অবস্থান নিরুপণ করে অথবা প্রশ্নের সময় গ্রহাদির অবস্থান নির্ণয় করে, অথবা হস্তরেখাবিচার, শরীরের চিহ্নবিচার ইত্যাদি বিভিন্ন পদ্ধতির ব্যবহারে প্রশ্নকর্তার ভবিষ্যতের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণ করার জ্ঞান ও পদ্ধতিকে জ্যোতিষশাস্ত্র বলা হয়। আবার জ্যোতিষশাস্ত্রের একটি বিভাগ দেশ, রাজ্য, শহর, গ্রাম ইত্যাদির এবং প্রাকৃতিক ঘটনাবলীর যেমন বৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, ভূমিকম্প, ঝড়, ঝঞ্ঝা, মহামারী বা প্লাবণের ভবিষ্যদ্বাণী করতেও ব্যবহৃত হয়।