সংক্ষিপ্ত

  • হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব
  • শ্রীশ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমী ব্রত অনুষ্ঠিত হবে ১২ অগাস্ট
  • দ্বাপর যুগের এই তিথিতেই আবির্ভাব হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
  • এই উৎসবগুলি কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী নামেও পরিচিত

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, সৌর ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে যখন রোহিণী নক্ষত্রের প্রাধান্য হয়, তখন জন্মাষ্টমী পালিত হয়। উৎসবটি গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে, প্রতি বছর আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে কোনও এক সময়ে পড়ে। মনে করা হয়ল বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ। কৃষ্ণের জীবনের রাসলীলা মথুরা, বৃন্দাবন, মণিপুর ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে এই উৎসবের সঙ্গে করা হয়। এই বছরের শ্রীশ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমী ব্রত অনুষ্ঠিত হবে ১২ অগাস্ট ২০২০ বুধবার। তবে অষ্টমী তিথি শুরু হবে ১১ আগস্ট মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের পরে।

পুরাণ মতে দ্বাপর যুগের এই তিথিতেই মানবরূপে মর্তে আবির্ভাব হয়েছিলেন ভগবান শ্রীকৃষ্ণ। এই উৎসবগুলি কৃষ্ণাষ্টমী, গোকুলাষ্টমী, অষ্টমী রোহিণী, শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী ইত্যাদি নামেও পরিচিত। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশেষত বৈষ্ণবদের কাছে জন্মাষ্টমী একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এই উৎসব নানা ভাবে উদযাপন করা হয়। যেমন - ভগবত পুরাণ অনুযায়ী নৃত্য, নাটক যাকে বলা হয় রাসলীলা বা কৃষ্ণ লীলা, মধ্যরাত্রি তে শ্রীকৃষ্ণের জন্মের মুহূর্তে ধর্মীয় গীত গাওয়া, উপবাস, দহি হান্ডি প্রভৃতি। দহি হান্ডি উৎসবে ছোটরা মিলে উঁচু কোনও জায়গায় বেঁধে রাখা মাখনের হাড়ি ভাঙতে চেষ্টা করে। এই রীতির মধ্যে দিয়েই জন্মাষ্টমী ব্রত পালন করা।

সূর্যোদয় ১২ আগস্ট হবে সকাল ৫ টা বেজে ৫০ মিনিটে। সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬ টা বেজে ৪০ মিনিটে। এই দিনে ছিল কৃষ্ণপক্ষ, অষ্টমী তিথি ১১ টা বেজে ১৬ মিনিটে শুরু হবে নবমী। নক্ষত্র কৃত্তিকা থাকবে ভোর ৩ টে বেজে ২৭ মিনিট। ১৩ অগাস্ট পর্যন্ত, রোহিনী নক্ষত্র থাকবে। সূর্য এই দিনে থাকবে কর্কট রাশিতে। চন্দ্রমা থাকবে মেষ রাশিতে পূর্বাহ্ণ ৭ টা বেজে ৩৭ মিনিট পর্যন্ত। ১৩ অগাষ্ট রাত ১২ টা বেজে ৪৮ মিনিট থেকে রাত ২ টো বেজে ৩৪ মিনিট পর্যন্ত থাকবে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ।