বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্র ক্ষণ কোনটা, কতক্ষণই বা থাকছে পুজোর সময়, জানুন সবখুটিনাটি তথ্য

বিশ্বকর্মা পুজো মানেই দুর্গাপুজোর ঘণ্টা যেন বেজে যাওয়া। ফি বছরই ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পুজো হয়। বিশ্বকর্মাকে যন্ত্র ও নির্মাণের দেবতা বলা হয়। সেই কারণে বিশ্বকর্মা পুজো মানেই কলকারখানা থেকে শুরু করে নির্মাণশিল্প, পাড়ার লোহালক্করের দোকান থেকে শুরু করে লাইট-মাইক ভাড়া দেওয়ার দোকান- সবখানেই একটা হইহই রইরই ব্যাপার। শুক্রবার সকাল ৬টা ৭ মিনিটে শুরু হবে বিশ্বকর্মা পুজোর সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ। বিশ্বকর্মা পুজোর মাহেন্দ্রক্ষণ বলতে যা বোঝায় সেই সময় শুরু হবে রাত ১০টা ২০ মিনিট ১৫ সেকেন্ড থেকে। পুজোর সময় স্থায়ী হবে ১১টা ৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ড পর্যন্ত। 

কথিত আছে ব্রহ্মা বিশ্ব জগতের দায়িত্ব বিশ্বকর্মার হাতে অর্পণ করেছিলেন। এই কারণে তিনি দেবশিল্পী নামে পরিচিত। পুরান মতে প্রাচীনকালে দেব-দেবতা থেকে শুরু করে রাজ-রাজা এবং বড় বড় ধনবানদের যে রাজপ্রাসাদ এবং অট্টালিকা নির্মাণ হত তার সবই করতেন বিশ্বকর্মা। 

বিশ্বকর্মা পুজোর যে নির্ঘণ্ট পাওয়া গিয়েছে তা এমন- বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে- তিথি- ভাদ্র শুক্ল পক্ষ- একাদশী দিবা ৮টা ৮ মিনিট পর্যন্ত। আর গুপ্তপ্রেসের পঞ্জিকা মতে- তিথি- ভাদ্র শুক্ল পক্ষ- একাদশী ঘ ৮টা ৩৪ মিনিট ২৫ সেকেন্ড পর্যন্ত। বৃহস্পতিবার রাত ১টা ১৪ মিনিটে রবি (সূর্য) রাশি পরিবর্তন করে সিংহরাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করবে। 

তিথি ও পুজোর সময় নির্ধারণ হয় চন্দ্রের গতি অনুযায়ী। কিন্তু বিশ্বকর্মা পুজো নির্ধারণ হয় সূর্যের গতি অনুযায়ী। বৃহস্পতিবার রাত ১টা ২৯ মিনিটে শুরু হবে কন্যা সংক্রান্তি। এই রবি মানে সূর্য সিংহরাশি থেকে কন্যারাশিতে গমন করবে। আর রাহুকাল শুরু হবে শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৩ মিনিটে। রাহুকাল শেষ হবে ১২টা ১৫ মিনিটে। বিশ্বকর্মা পুজোর একাধিক মন্ত্র রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় মন্ত্র হল- 'দংশপালঃ মহাবীরঃ সুচিত্রঃ কর্মকারকঃ। বিশ্বকৃৎ বিশ্বধৃকতঞ্চ বাসনামানো দণ্ডধৃক। ওঁ বিশ্বকর্মণে নমঃ।' 

পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, ওড়িশা বিহার ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটকে এই পুজো সাড়ম্বরে পালন করা হয়। ঋক বেদে যে সব হিন্দু দেব-দেবীর পরিচয় পাওয়া যায়- তারমধ্যে বিশ্বকর্মার নামও রয়েছে।