সংক্ষিপ্ত

  • বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথি নরসিংহ জয়ন্তি হিসাবে উদযাপিত হয়
  • এই তিথিতে ভগবান বিষ্ণু নরসিংহের অবতার নিয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেছিলেন
  • এটি ভগবান বিষ্ণুর দশটি বড় অবতারের মধ্যে চতুর্থ অবতার
  • এই দিনে নরসিংহকে সন্তুষ্ট করার জন্য উপবাস এবং পুজো করা হয়
     

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিটি নরসিংহ চতুর্দশী হিসাবে উদযাপিত হয়। ধর্মীয় গ্রন্থ অনুসারে, এই তিথিতে, ভগবান বিষ্ণু, নরসিংহের অবতার নিয়ে, অসুরদের রাজা হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেছিলেন। এটি ভগবান বিষ্ণুর দশটি বড় অবতারের মধ্যে চতুর্থ অবতার। এই তিথি ৬ মে ২০২০ বুধবার পালিত হচ্ছে। এই দিনে ভগবান নরসিংহকে সন্তুষ্ট করার জন্য উপবাস রাখা হয় এবং পুজো করা হয়।

আরও পড়ুন- মে মাস কেমন প্রভাব ফেলবে সিংহ রাশির উপর, দেখে নিন

এদিনে পুজোয় চন্দন কাঠ ভগবান নরসিংহের উপাসনায় ব্যবহৃত হয়। এটি রুদ্র রূপে ভগবান বিষ্ণুর অবতার। এমনকি এই পুজোয় নরসিংহ অবতারের রাগ কমাতে চন্দন কাঠের পেস্ট বা চন্দন বাটাও প্রয়োগ করা হয়। চন্দন কাঠ শরীর ঠান্ডা বাড়ে। এই কারণেই এই পুজোর মূল উপকরণ এই চন্দন কাঠ।

ভগবান বিষ্ণু কেন নরসিংহকে অবতার করলেন?

আরও পড়ুন- আয় থেকে সম্পর্ক কেমন থাকবে আজ, দেখে নিন আজকের রাশিফল

অসুরের রাজ হিরণ্যকশিপু নিজেকে ঈশ্বরের চেয়ে নিজেকে শক্তিশালী মনে করতেন। মানুষ, দেবতা, পাখি, প্রাণীর মৃত্যু দান তাঁর হাতে ছিল। না দিনে, রাতে, না পৃথিবীতে, আকাশে, না অস্ত্র দ্বারা, না অস্ত্র দ্বারা কেউ তাঁকে হত্যা করতে পারবে না, এই বরদান পেয়েছিলেন তিনি। যে তাঁর রাজ্যে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করতেন তাকে শাস্তি দেওয়া হত। তাঁর ছেলের নাম প্রহ্লাদ।

প্রহ্লাদ শৈশব থেকেই ভগবান বিষ্ণুর এক প্রবল ভক্ত ছিলেন। হিরণ্যকশিপু এই বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে প্রহ্লাদকে বোঝানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু প্রহ্লাদ বিশ্বাস না করলেও হিরণ্যকশিপু তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তবে প্রতিবারই তিনি ভগবান বিষ্ণুর অলৌকিক ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। আগুনে জ্বলতে না পারার হিরণ্যকশিপুর বোন হলিকা প্রহ্লাদাকে নিয়ে জ্বলন্ত আগুনে বসেছিল।

এত কিছুর পরেও ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় প্রহ্লাদ বেঁচে গিয়েছিল এবং হলিকাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। হিরণ্যকশিপু নিজে যখন প্রহ্লাদকে হত্যা করতে চলেছিলেন, তখন ভগবান বিষ্ণু স্বয়ং নরসিংহের অবতার নিয়ে হাজির হয়েছিলেন এবং নখ দিয়ে হিরণ্যকশিপুকে হত্যা করেছিলেন। সেই থেকেই বিশেষ এই তিথিতে বিষ্ণুর এই রুদ্র অবতারের আবারধনা করা হয়।